আজকের দিন তারিখ ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব লাশের স্তূপ দিল্লি শ্মশানে, ২৪ ঘণ্টা জ্বলছে চিতা

লাশের স্তূপ দিল্লি শ্মশানে, ২৪ ঘণ্টা জ্বলছে চিতা


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৬, ২০২০ , ৪:১২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক :  ভারতের দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত মৃত দেহ সৎকারে ২৪ ঘণ্টা জ্বলছে চুল্লি-চিতা। শ্মশানে দেখো গেছে জমে থাকা লাসের স্তুূপ। আনন্দ বাজারের প্রতিবেদনে এই তথ্য পােওয়া গেছে।

হিমশিম খেতে হচ্ছে দিল্লির নিগম বোধ শ্মশান কর্তৃপক্ষকে। দিনভর চিতার আগুন ও ধোঁয়ায় চোখে জ্বালা ধরে গেলেও, সব দেহ সৎকার করে উঠতে পারছেন না শ্মশানকর্মীরা।

শহরের প্রাণকেন্দ্র লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকাতে অবস্থিত হওয়ায় বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মৃতদেহ আসে নিগম বোধ শ্মশান ঘাটে।

২৪ ঘণ্টা শ্মশান খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিগম বোধ কর্তৃপক্ষ। ছ’টির মধ্যে তিনটি বৈদ্যুতিক চুল্লি কাজ করছে সেখানে। গত সপ্তাহে কাঠের চিতাতেও করোনায় মৃতদের তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও সব দেহ সৎকার করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।

করোনা সংক্রমিত মৃত দেহ কাঠের চিতায় পোড়ালে ছড়াতে পারে সংক্রমণ এমন আশঙ্কায় এত দিন শুধুমাত্র বৈদ্যুতিক চুল্লিতেই দেহ সৎকার চলছিল। তবে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্প্রতি কাঠের চিতায়ও সৎকারের অনুমতি দেওয়া হয়।

শ্মশান ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সুমনকুমার গুপ্ত বলেন, মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানে ঢোকার মুখে মৃতের পরিবারের সকলকে জীবাণুমুক্তকরার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সামাজিক দূরত্ব মেনে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে অনেকটা সময়ও লেগে যায়। তার জন্য উদ্বেগ নিয়েই ঘণ্টার পর ঘণ্টা শ্মশানে অপেক্ষা করতে হয় তাদের। কিন্তু এ ছাড়া অন্য উপায় নেই বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, সকলেই চান চটজলদি সব কিছু মিটিয়ে ফেলতে। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনটি মাত্র বৈদ্যুতিক চুল্লি কাজ করছে। তাই সময় লেগে যায়।’হাসপাতাল ও মর্গগুলিতে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায়, কোনও কোনও সময় একটি অ্যাম্বুল্যান্স চার-পাঁচটি দেহ নিয়ে শ্মশানে হাজির হয় বলেও জানান তিনি। সেই সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় শ্মশান কর্মীদের। এসময় গত দুমাসে নিগম বোধ শ্মশানে ৫০০ বেশি দেহ দাহ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সুকুমার গুপ্ত।

নিগম বোধ ঘাটে কর্মরত সঞ্জয় শর্মা নামের এক শ্মশানকর্মী বলেন, এই সঙ্কটের সময়ও মৃতদেহগুলিকে যাতে সম্মানের সঙ্গে দাহ করা যায়, সেদিকে নজর রাখেন তাঁরা। এসময় আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে বলেও জানান তিনি।

জানুয়ারির শেষ থেকে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভারতে ৬ হাজার ৬৪২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র দিল্লিতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৭০৮ জন।