শপিংমল খুলছে : জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা বজায় রাখা কঠিন হবে
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৬, ২০২০ , ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সম্পাদকীয়
ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট চালু রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রংপুর বিভাগের মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরায় খুব বেশি খোলামেলাভাবে মেশা বা এক জায়গায় জড়ো হওয়া বা খুব বড় জনসমাগম করা থেকে মুক্ত থাকতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা বজায় রেখে অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখার জন্য মন্ত্রিসভা বিভাগ থেকে শিগগিরই কিছু নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপরও শঙ্কা থেকে যায়। গার্মেন্টস খুলে দেয়ার পর জনগণ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। দোকানপাট খোলায় সেই ঝুঁকি আরো বাড়তে পারে। শপিংমলগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা সম্ভব হবে কিনা প্রশ্ন রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমতাবস্থায় করোনা পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট চালু রাখার কারণে সড়কে মানুষের চলাচল বেড়ে যাবে। শেষ সময়ে এসে এমন সিদ্ধান্ত কেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। করোনা সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ মার্চ দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তখন থেকে সরকারি ও বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। মসজিদ, মন্দিরসহ প্রার্থনার স্থানগুলোও এক প্রকার বন্ধ। একেবারে সীমিত আকারে কয়েকজনকে নিয়ে ওয়াক্ত, তারাবি ও জুমার নামাজ পড়ছেন মুসল্লিরা। গার্মেন্ট মালিকদের অনুরোধে লকডাউনের এক মাসের মাথায় গত ২৬ এপ্রিল খুলে দেয়া হয় তৈরি পোশাক কারখানাগুলো। আর গত সোমবার এলো আরো কিছু ঘোষণা। শর্ত মেনে আগামী ১০ মে থেকে সারাদেশে হাট-বাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিংমলগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সীমিত পরিসরে খোলা রাখা যাবে। সেই সঙ্গে প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে। ঘোষণায় আরো বলা হয়, আসন্ন ঈদের ছুটিতে জনগণকে নিজ নিজ স্থানে থাকতে হবে এবং আন্তঃজেলা-উপজেলা বাড়িতে যাওয়ার ভ্রমণ থেকে নিবৃত্ত করতে হবে। এমতাবস্থায় শর্তাবলী পালনসাপেক্ষে অধীন অফিস/ অধিদপ্তর/ বাহিনী/ সংস্থাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে চিঠিতে অনুরোধ জানায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। দোকান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় ব্যবসায়ীরা খুশি হয়েছেন এটাই স্বাভাবিক। সরকারের সিদ্ধান্তে মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে সরকারের দেয়া শর্ত বা নির্দেশনা মেনেই দোকান খোলা রাখতে হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম করা যাবে না। সরকার যেমন দেশের জনগণের কথা চিন্তা করছে, ঠিক তেমনি ব্যবসায়ীদের সরকারের নির্দেশনাও মেনে চলতে হবে।