আজকের দিন তারিখ ১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বিনোদন শমী কায়সারকে মামলা থেকে অব্যাহতি

শমী কায়সারকে মামলা থেকে অব্যাহতি


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ৭, ২০২১ , ১২:০৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: বিনোদন


দিনের শেষে ডেস্ক :   অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে করা ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলায় অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দেন। সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে সম্বোধন করায় তার বিরুদ্ধে এ মামলা হয়েছিল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলায় সাক্ষী খুঁজে না পাওয়ায় বিবাদিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইর পরিদর্শক লুৎফর রহমান। পরের দিন ৪ মার্চ মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি রোববার গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে বিবাদি শমী কায়সারকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

পিবিআইর পরিদর্শক লুৎফর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে কোনো সাক্ষী খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে শমী কায়সারকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করি। স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা মো: নুজহাতুল হাচান ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে এ মানহানির মামলা করেন। আদালত বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহবাগ থানার পরিদর্শককে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

গত ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা মো: নুজহাতুল হাচান পুলিশের দেয়া প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেন। এ নারাজি শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। পরে ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর মামলার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান।প্রতিবেদনে মাহবুবুর রহমান উল্লেখ করেন, শমী কায়সারের বক্তব্যে মানহানির মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। মামলার বাদি এ বিষয়ে সাক্ষ্য ও প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠান থেকে শমী কায়সারের দু’টি মোবাইল চুরি হয়। ওই অনুষ্ঠানে অর্ধশত ক্যামেরাম্যান ছাড়াও শতাধিক মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে স্মার্টফোন চুরির অভিযোগ এনে তাদের আটকে রেখেছিলেন অভিনেত্রী শমী কায়সার। এ সময় দরজা বন্ধ রেখে তিনি প্রায় অর্ধশত সাংবাদিকের দেহেও তল্লাশি করিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, শমীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীরা এক আলোকচিত্র সাংবাদিকের ক্যামেরার লেন্স খুলেও তল্লাশি করতে চেয়েছিলেন বলে ওই সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন।

এ সময় আটকে রাখা কোনো কোনো সাংবাদিক বের হতে চাইলে ‘চোর’ বলে তাদের হেনস্তা করেন শমী কায়সারের নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন সংবাদকর্মীরা। শেষে ক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের প্রতিবাদের মুখে শমী কায়সার ক্ষমা চেয়ে শেষ রক্ষা পান। শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে শমী অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পর এখন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি এবং এফবিসিসিআইর পরিচালক।