মশাল বহন করবেন ১৫ থেকে ২০ ক্রীড়াবিদ
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ১২, ২০২১ , ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস
দিনের শেষে প্রতিবেদক : এবারের বাংলাদেশ গেমসের নামকরণ হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এ ক্রীড়া আসরটির যাত্রা শুরু হবে জাতির পিতার জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে। নবম বাংলাদেশ গেমসের কোনো খেলা সেখানে না হলেও মশাল যাত্রাটা হবে টুঙ্গিপাড়া থেকেই। ১লা এপ্রিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিনেই বঙ্গবন্ধুতে মশাল প্রজ্বলন করা হবে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে ৩০শে মার্চ টুঙ্গিপাড়া থেকে গেমসের মশালটা চলে যাবে ভেন্যগুলোতে। করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছর স্থগিত হওয়া বাংলাদেশ গেমসের পুরো আয়োজনে নতুনত্ব আনার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে আযোজকরা। মশাল প্রজ্বলন, উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান মনে রাখার মতো আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (ব্িওএ)।
এখনো সব কিছু পরিকল্পনার মধ্যে থাকায় গেমস নিয়ে কথা বলতে চাইছেন না বিওএর কর্মকর্তারা। তবে কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে বাংলাদেশ গেমসের মশাল প্রজ্বলনটা হবে ভিন্নধর্মী। সাধারণত যেকোনো গেমসের মশাল প্রজ্বলন এবং মশাল নেভানোর কাজটি করে থাকেন সাবেক তারকা অ্যাথলেটরা। তখন দুই থেকে তিন সাবেক খেলোয়াড় মশাল বহন করে থাকেন। নবম বাংলাদেশ গেমসে মশাল বহন করবেন ১৫ থেকে ২০ জন সাবেক ক্রীড়াবিদ। ইতিমধ্যে দশম এসএ গেমসে এবং অন্যান্য আসরে যারা পদক পেয়েছে তাদের একটা তালিকা চূড়ান্ত করেছে বিওএ। বিগত সময়ে যারা খেলেছেন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন মূলত মশাল প্রজ্বলনে তাদেরকেই অগ্রাধিকার দেয়া হবে। ব্যতিক্রম শুধু গলফার সিদ্দিকুর রহমান। বর্তমান প্লেয়ার হিসেবে সিদ্দিক মশাল বহনে যুক্ত থাকবেন। মশাল বহনে যারা থাকবেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন- সাবেক ক্রিকেটার গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, সাবেক ফুটবলার শেখ মো. আসলাম ও ইলিয়াস হোসেন, সাবেক অ্যাথলেট মিলজার হোসেন ও ফরহাদ জেসমিন লিটি, জাতীয় নারী হ্যান্ডবল দলের সাবেক অধিনায়ক ডালিয়া আক্তার, জাতীয় নারী কাবাডির সাবেক অধিনায়ক শাহনাজ পারভীন মালেকা, সাবেক পদকজয়ী আরচার ইমদাদুল হক মিলন, ২০১০ সাউথ এশিয়ান গেমসে স্বর্নজয়ী উশুকা ইতি ইসলাম ও মেসবাহ উদ্দিন. কারাতেকা জ উ প্রু, সাবেক সোনাজয়ী শুটার আতিকুর রহমান, সোনাজয়ী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা, সাবেক পদকজয়ী সাঁতারু শাহজাহান আলী রনি এবং গলফার সিদ্দিকুর রহমান। টু্ঙ্িগপাড়ায় গেমসের মশাল প্রজ্বলন করার কথা রয়েছে বিওএর সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের। ২৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়া থেকে মশাল প্রজ্বলন করার পর প্রতিটি জেলা বা ভেন্যুর জন্য আলাদা মশাল থাকবে। ঢাকার বাইরে নয়টি ভেন্যুতে হবে বাংলাদেশ গেমস। চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশাল এবং গাজীপুর ভেন্যুতে ওই দিনই মশাল বহন করে নিবে যাবেন সাবেক অ্যাথলেটদের কয়েকজন। এসব ভেন্যুগুলোতে মশাল বহনে কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকবে না। মশাল বহনের মূল আনুষ্ঠানিকতা থাকবে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত। বিওএর সভাপতি এবং সেনাপ্রধান গেমসের মশাল প্রজ্বলন করার পর গেমসের সাংগঠনিক সম্পাদক বিওএর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা সেই মশাল নিয়ে ঢাকা মহানগরীর উদ্বেশ্যে রওনা দেবেন। মোটর শোভা যাত্রা যোগে মশালটা ফরিদপুরের ভাঙ্গা প্রান্তে আনা হবে। করোনার কারণে অনুষ্ঠানটা ছোট করা হয়েছে। প্রাথমিক পরিকল্পনায় ভাঙ্গা গেইট থেকে নবম পদাতিক ডিভিশনের তত্বাবধানে এটা পদ্মা সেতুকে হাইলাইটস করে সেতুর পাশ দিয়ে মাওয়া প্রান্তে নিয়ে আসা হবে। এরপর গেমসের সাংগঠনিক সম্পাদক সেটা মাওয়ায় কোনো মন্ত্রী কিংবা বিওএর কোনো কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করবেন। সেখান থেকে মশালটা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে চারদিন থাকবে। গেমস শুরুর দিন ১লা এপ্রিল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রজ্বলন করা হবে গেমসের মশাল। আর ১০ এপ্রিল একই ভেন্যুতে গেমসের সমাপনী দিনে সাবেক কোনো এক তারকা মশাল নেভাবেন।