শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ, তীব্র যানযট
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১৭, ২০২০ , ১:৩৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : পদ্মার তীব্র স্রোত আর ঘুর্ণাবর্তে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। স্রোতের প্রতিকূলে একদিকে ফেরিগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না, অন্যদিকে পদ্মার তীব্র স্রোতে ফেরির প্রপেলারে গাছ-গাছালি পেঁচিয়ে ফেরিগুলো গতি হারিয়ে ফেলছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টায় পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে বয়াবাতি ডুবে যাওয়ায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার (১৭ জুলাই) একাধিকবার চেষ্টা করেও কোন ফেরি চ্যানেলে ঢুকতে পারেনি। পরে শুক্রবার দুপুর ১২টায় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম। এই ঘাটে ১৬টি ফেরি থাকলেও শুক্রবার একটি ফেরিও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি।
এদিকে, ১৬ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানযট। প্রায় ১২ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। শুক্রবার (১৭ জুলাই) ভোর ৫টায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায় রো রো ফেরি শাহমখদুম। শাহমখদুম বিকল্প চ্যানেলে ঢুকতে না পেরে ভাটিতে নোঙ্গর করতে বাধ্য হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির মেরিন অফিসার আলী আহাম্মেদ জানান, তীব্র স্রোতে গাছ-গাছালি ভেসে এসে ঘূর্ণিস্রোতে ফেরি শাহ মখদুমের প্রপেলারে পেঁচিয়ে যায়। এতে ফেরির গতি কমে যায়। এমনিতেই ফেরিগুলো স্রোতের কারণে ঠিকভাবে চলতে পারছে না। তারপর গতি কমে যাওয়ায় ফেরিটি চ্যানেলে ঢুকতে না পেরে ভাটিতে নোঙ্গর করতে বাধ্য হয়। পরে ফেরিটি উদ্ধার করতে আইটি-৩৯৪ জাহাজ সেখানে পৌঁছে।
এই কর্মকর্তা আরও জানান ফেরিটি উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। ফেরিটি উদ্ধার করে আগে শিমুলিয়া ঘাটে আনা হবে। তারপর অবস্থা বুঝে কাঁঠালবাড়ি নেয়া হবে।
সকাল ৮টায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ফেরি ক্যামেলিয়া দুপুর পর্যন্ত বিকল্প চ্যানেলে ঢুকতে পারেনি। স্বাভাবিক সময়ে একটি ফেরির শিমুলিয়া থেকে কাঁঠালবাড়ি পৌঁছাতে ১ থেকে দেড় ঘণ্টার মতো সময় লাগে।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, পদ্মায় প্রবল স্রোত আর ঘুর্ণাবর্তের কারণে ফেরিগুলো কয়েকদিন থেকেই ঝুঁকি নিয়ে চলছিল। স্রোতের প্রতিকুলে ফেরিগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছিল না। মাঝে মধ্যেই স্রোতের টানে ফেরিগুলো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছে। দিনের বেলা মাত্র ৬টি আর রাতের বেলা ১/২টি ফেরি দিয়ে কোন মতে যোগাযোগ চালু রাখা হয়েছিল। পরে শুক্রবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় ফেরি চলাচল আপাতত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হিলাল উদ্দিন জানান, গাড়ির সারি দীর্ঘ হচ্ছে। গাড়ির চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যাত্রীরা অস্থির হয়ে উঠেছে। ফেরি চলাচলে সমস্যার কারণে চাপ পড়েছে লঞ্চ ও স্পিডবোটের ওপর।
এদিকে, পদ্মার মাওয়া পয়েন্টে শুক্রবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আর ভাগ্যকূলে বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।