আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// ‘শেখ মুজিবের মেয়ে দেশের সম্পদ বেঁচে ক্ষমতায় আসে না’

‘শেখ মুজিবের মেয়ে দেশের সম্পদ বেঁচে ক্ষমতায় আসে না’


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ৫, ২০২৪ , ৬:০৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে প্রতিবেদক : শেখ মুজিবের মেয়ে কখনো দেশের সম্পদ বেঁচে ক্ষমতায় আসে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রিতে বাধ সাধায় ২০০১ সালে সরকার গঠন করতে পারিনি। ওই সময় অনেক ভোট পেয়েছিলাম, কিন্তু প্রয়োজনীয় সিট পাইনি। বাংলাদেশের সম্পদ না বেচায় যদি ক্ষমতায় না আসি, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না।
আজ শুক্রবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক ঝড়ঝাপটা পার করে পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে হয়েছে। সাধারণত কোনও প্রকল্প শেষ হলে সেই শেষ হওয়ার অনুষ্ঠান হয় না। কখনো করা হয় না, শেষ হয়ে যায়।
বাংলাদেশের জনগণের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
একই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, যতদিন পদ্মা সেতু থাকবে, ততদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উচ্চারিত হবে। মানুষের হৃদয়ে যে নাম লিখিয়েছেন শেখ হাসিনা, সেখানেই বেঁচে থাকবেন। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্ল্যাংক চেক দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী আমাদের ব্ল্যাংক চেক দিয়ে রেখেছিলেন। তিনি অনেক বেশি স্বাধীনতা দিয়েছিলেন বলেই এতো বড় কাজটা করা সম্ভব হয়েছে। মাঝেমধ্যে তো আমি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাও নিজে প্রয়োগ করেছি।’ প্রধানমন্ত্রীর সাহসী সিদ্ধান্তে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে পদ্মা সেতু। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে গেলেও বন্ধ হয়নি নির্মাণকাজ।
প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ঘোষণায় একটি স্থাপনা গোটা দেশের গর্বে রূপান্তর হয়েছে। একটু একটু করে যখন প্রমত্তা পদ্মা নদীতে সেতু দৃশ্যমান হতে থাকে, তখন গর্ব যেন একটু একটু করে বাড়তে থাকে। যারা ভাবেনি সরকারের পক্ষে এই সেতুর নির্মাণ সম্ভব, তারাও অবাক হয়ে চেয়ে দেখেছে বিস্ময়।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর থেকে গত দুই বছর সেতুর ওপর দিয়ে এক কোটি ২৭ লাখ যানবাহন পারাপার হয়েছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে এক হাজার ৬৬১ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৯ হাজার যান চলাচল করেছে এই সেতুতে। দৈনিক গড়ে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে বলেও মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান জানিয়েছেন।
ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এতে ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ হয়েছে। সেতুতে রেললাইন স্থাপন হচ্ছে নিচতলায়। প্রকল্পে নদীশাসন হয়েছে দুই পারে ১২ কিলোমিটার। মূল সেতুতে ব্যয় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। বাকিটা প্রকল্পের নদীশাসন, সংযোগ সড়ক ও সাইট অফিস স্থাপনে ব্যয় হয়।
সেতুর প্রাক-সম্ভাব্যতা সমীক্ষা হয় ১৯৯৮-৯৯ সালে। সম্ভাব্যতা সমীক্ষা হয় ২০০৩-০৫ সালে। বিস্তারিত নকশা ও প্রকিউরমেন্ট হয় ২০০৯-১১ সালে। নকশার ইন্ডিপেনডেন্ট চেকিং হয় ২০১০ সালে, প্রকিউরমেন্ট ও বাস্তবায়ন ২০১১-২২ সালে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয়। কিন্তু ২০১২ সালের ৩০ জুন ঋণচুক্তিটি বাতিল হয়। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুতে প্রথম স্প্যান বসানো হয়। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর সেতুতে সর্বশেষ স্প্যান বসানো হয়। গেল ৩০ জুন প্রকল্পের সমাপ্তি টানা হলো।