আজকের দিন তারিখ ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
রাজনীতি শেখ হাসিনা আলোকিত বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন

শেখ হাসিনা আলোকিত বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ২, ২০২২ , ৪:০০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি


দিনের শেষে ডেস্ক :  আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অন্ধকারময় সময় পেছনে ফেলে শেখ হাসিনা দেশবাসীকে আলোকিত বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের স্মারক রেখেছেন তিনি। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আসার জন্য বিএনপি দেশের মূল্যবান খনিজ সম্পদ বিদেশি প্রভুদের হাতে তুলে দিয়েছিল। বিদ্যুৎ সরবরাহের নামে শুধুমাত্র খাম্বা স্থাপন করে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছিল। বিকল্প ক্ষমতা কেন্দ্র হাওয়া ভবন আর খোয়াব ভবন আলোকিত রাখতে গিয়ে সারাদেশকে অন্ধকারে রেখেছিলো বিএনপি।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা সহজেই তাদের অতীত ভুলে যেতে চাইলেও জনগণ ঠিকই তা মনে রেখেছে। তাদের শাসনামলে দেশে দিনে ১৩-১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং চলতো। তাদের সময়ে দেশ ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টরে শেখ হাসিনা সরকার সাফল্য দেখিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের মধ্য দিয়ে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হয় তখন দেশে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ২২০ কিলোওয়াট, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৫৬০ কিলোওয়াটে। ২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতাভুক্ত ছিল মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪৭ শতাংশ। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

বিদ্যুতখাতের দুর্নীতি নিয়ে যারা কথা বলেন, প্রকৃতপক্ষে তারাই দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। বর্তমান সরকারের সুষ্ঠু নীতি ও সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা না থাকলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত করা সম্ভব হতো না বলে জানান তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালের শুরুতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ২৬৭ মেগাওয়াট। বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮ লাখ। ২০২২ এর এপ্রিলে এসে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৭ লাখে।

মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বকে থমকে দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্য অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ায় পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক দেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার আশঙ্কা কাটাতে আগাম ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশকেও কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে রেশনিং করা হচ্ছে। যা একটি সাময়িক পদক্ষেপ।