আর এসব নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। সেখানে পারস্পরিক অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ উঠে আসছে ক্রমশ। খবর: আনন্দবাজার ও এনডিটিভি’র। শুনানি থেকে স্পষ্ট, দু’জনের মধ্যে অশান্তি চরমে উঠেছিল ২০১৫ সালের পর থেকে। ২০১৭-তে বিচ্ছেদ। তার পরেও কাদা ছোঁড়াছুড়ি শেষ হয়নি। ৫০ লাখ ডলার খরচ করে অ্যাম্বারের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকেছিলেন জনি। সেই মামলার শুনানি চলছে ভার্জিনিয়ার আদালতে।
আদালতে অ্যাম্বার জানান, তিনি যে এতোদিন বেঁচে আছেন, সেটাই আশ্চর্য। ২০১৫ সালে মধুচন্দ্রিমা সফরে মৃত্যুভয় প্রত্যক্ষ করেছিলেন তিনি। জনি নাকি তাকে ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেসের মধ্যেই গলা টিপে ধরেছিলেন। ঘাড় ধরে ফেলে দিতে গিয়েছিলেন চলন্ত ট্রেন থেকে। অ্যাম্বারের দাবি, সেটাই ছিল শুরু। এরপর প্রায় প্রতিদিনই হিংসার শিকার হয়েছেন তিনি। অভিযোগ, জনি তার ওপর সমস্ত রকম অত্যাচার করতেন। সেই সঙ্গে জনিকে মাদকাসক্ত এবং স্বেচ্ছাচারী হিসেবেও উল্লেখ করেন তার প্রাক্তন স্ত্রী।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ‘চার্লি অ্যান্ড দ্য চকোলেট ফ্যাক্টরি’র অভিনেতা। তার পক্ষের উকিলরাও অ্যাম্বারকে প্রতিনিয়ত থামানোর চেষ্টা করে চলেছেন। তাদের পাল্টা অভিযোগ, অ্যাম্বার জনিকে হেনস্থা করেছেন। শয্যায় মলত্যাগ করাসহ নানাভাবে অভিনেতার মান নষ্ট করেছেন।
তবে অ্যাম্বারও দমার পাত্রী নন। স্পষ্ট জানান, তর্ক-বিতর্ক তাদের মধ্যে চলতোই, যেমন আরও পাঁচটা দম্পতির চলে। কিন্তু তর্ক করতে করতেই নাকি উত্তেজিত হয়ে পড়তেন জনি। একবার সোজা এসে ছুরি চালিয়ে দিয়েছেন অ্যাম্বারের গায়ে। জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দিতেন তাকে, এমনটাও অভিযোগ করেন তিনি। তবু অ্যাম্বারের দাবি, জনিকে তিনি আজও ভালবাসেন।