আজকের দিন তারিখ ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দাবি : প্রিন্স ফয়সালকে গুম করেছে সৌদি সরকার

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দাবি : প্রিন্স ফয়সালকে গুম করেছে সৌদি সরকার


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ১০, ২০২০ , ৩:২৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক : প্রয়াত সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের ছেলে প্রিন্স ফয়সালকে অজ্ঞাত স্থানে গুম করে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ)। সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানায়, মার্চের শেষ সময় থেকে তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। সৌদি যুবরাজ ফয়সাল বিন আব্দুল্লাহ আল সৌদি আরবের মানবাধিকার সংস্থা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান ছিলেন। তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এইচআরডব্লিউ শনিবার জানিয়েছে, সম্ভবত সৌদি কর্তৃপক্ষ দেশটির সাবেক বাদশাহ আব্দুল্লাহর পুত্র প্রিন্সকে গুম করে রেখেছে। হিউম্যান রাইট ওয়াচের অভিযোগ, প্রিন্স ফয়সাল বিন আব্দুল্লাহ আল সৌদকে এক মাস ধরে আটকে রেখেছে সৌদি সরকার। সেই সময় থেকেই তাকে নির্জন কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ সংস্থাটির। এ সম্পর্কে এইচআরডাব্লিউর মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপ পরিচালক মাইকেল পেইজ বলেন, ‘চারদিকে ব্যাপক সমালোচনা সত্ত্বেও বিতর্কিত যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের শাসনামলে সৌদি কর্তৃপক্ষের বেআইনি আচরণ বেড়েই চলেছে। এখন সৌদি আরবে শত শত ব্যক্তিকে বিনা কারণে আটকে রাখা ব্যক্তিদের নামের তালিকায় যুবরাজকে ফয়সালকেও আমাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে হচ্ছে।’ এর আগে ২০১৭ সালে সৌদি যুবরাজ সালমানে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের সময়ও রিয়াদের একটি বিলাসবহুল হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল প্রিন্স ফয়সালকে। পরে অবশ্য সৌদি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক এই প্রধানকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই প্রতিবেদন নিয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি সৌদি সরকার। গত মার্চে যুবরাজ সালমানের নির্দেশে রাজ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু হয়।ওই সময় ২০ জনের বেশি প্রিন্সকে আটক করা হয়েছিল। এই অভিযানের দিন কয়েক আগে সৌদি রাজপরিবারের প্রভাবশালী সদস্য ও বাদশাহ সালমানের ছোট ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আব্দুল আজিজ এবং সাবেক ক্রাউন প্রিন্স ও দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন নায়েফকেও গ্রেপ্তার করা হয়। সৌদি যুবরাজ সালমানের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষদের দমন করার নানা অভিযোগ রয়েছে। এর আগে সৌদি রাজতন্ত্রের কড়া সমালোচক হিসাবে পরিচিত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিককে আঙ্কারার দূতাবাসে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও সৌদি যুবরাজের যোগসাজস আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।