হিমালয়সহ পাহাড়-পর্বত রক্ষায় বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ২২, ২০২৪ , ৫:২৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, কার্বন নি:সরণ বন্ধ না করলে, অভিযোজন এবং প্রশমন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আমরা যা কিছু করার চেষ্টা করি, তা যথেষ্ট হবে না। অভিযোজন এবং স্থিতিস্থাপকতার সীমা রয়েছে। বাংলাদেশ এবং নেপালের মতো দেশ আগামীকাল নেটজিরো অর্জন করলেও বৈশ্বিক নির্গমনে কোনো পার্থক্য করবে না কারণ জি২০ দেশগুলো বিশ্বব্যাপী নির্গমনের ৮১ শতাংশের জন্য দায়ী। মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে বাংলাদেশ প্রচুর ব্যয় করছে। উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বছরে সাত ট্রিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দিতে পারে, কিন্তু জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাগুলোতে অর্থায়ন করে না। এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বন্ধ করতে হবে। আমাদের এখন দ্রুত পদক্ষেপ দরকার, এটা পৃথিবীর সমস্যা। বিশ্ব নেতাদের সদিচ্ছা প্রকাশ করতে হবে।
সাবের চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমূদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে গেলে বাংলাদেশে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত হবে। লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ আমাদের উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করছে। বাংলাদেশের উত্তরে হিমবাহ গলছে এবং দক্ষিণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। আমরা খরা, বন্যাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের সব নেতিবাচক প্রভাব অনুভব করছি।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ‘প্রচন্ড’ নেপাল সরকারের বন ও পরিবেশমন্ত্রী নওল কিশোর সাহ সুরির সভাপতিত্বে উদ্বোধনী ভাষণ দেন। ভুটানের মন্ত্রী, ইউএনএফসিসিসি সাবসিডিয়ারি বডির চেয়ারম্যান; নেপালে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী; কিরগিজস্তানের রাষ্ট্রপতির বিশেষ প্রতিনিধি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য দেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নেপাল সরকারের মুখ্য সচিব ড. বৈকুণ্ঠ আরিয়াল।