আজকের দিন তারিখ ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// অব্যাহত তিস্তার ভাঙন, বিলীন শত শত বসতভিটা

অব্যাহত তিস্তার ভাঙন, বিলীন শত শত বসতভিটা


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১ , ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে ডেস্ক :  দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ভেঙেই চলেছে তিস্তা নদী। ​এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা, বিদ্যানন্দ ও ছিনাই ইউনিয়নের শত শত পরিবারের বসতভিটা। নদীগর্ভে নিজেদের বসতভিটা হারিয়ে দিশেহারা এসব এলাকার মানুষজন। অধিকাংশ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে। এছাড়া হুমকির মুখে রয়েছে তিন ইউনিয়নের একাধিক স্কুল, কয়েকটি মসজিদসহ কালভার্ট। এদিকে তিস্তার অব্যাহত ভাঙনের ফলে কৃষকদের ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিস্তায় বিলীন হয়ে গেছে অন্তত একশ বিঘা জমির রোপা আমনের ক্ষেত।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধানে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। গতিয়াসাম মৌজার লিলি বেগম বলেন, এখন পর্যন্ত আমার দুই একর জমি নদীগর্ভে গেছে। বাড়িঘর ভেঙে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, আমরা আজও অসহায়, কালও অসহায়। আমাদের এখানে চেয়ারম্যান, মেম্বার কেউ আসে নাই।

খিতাব খাঁ মৌজার গৃহবধূ আঞ্জুয়ারা বলেন, এখানে আমাদের তিন রুমের পাকা বাড়ি ছিল। বাড়িঘর ভেঙে নিয়ে বোনের বাড়িতে রেখেছি। আমাদের আশ্রয় নেওয়ার আর কোনো স্থান নেই। কৃষক নজীব হোসেন বলেন, গত কোরবানির ঈদের আগ থেকে তিস্তা নদী ভাঙছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বা কোনো জনপ্রতিনিধি এই নদীভাঙন এলাকায় আসলো না।

ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্রী রবীন্দ্রনাথ কর্মকার বলেন, আমি একাধিকবার সরেজমিনে নদীভাঙনকবলিত এলাকাগুলো দেখতে গিয়েছি। নদীভাঙনের শিকার পরিবারগুলোকে বিভিন্ন সহায়তা দিয়েছি।

এদিকে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, বর্তমানে অস্থায়ীভাবে জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব দিয়ে তিস্তার ভাঙনরোধের চেষ্টা চলছে। তিস্তা নদীর ভাঙনরোধ এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য প্রায় ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এটি বাস্তবায়ন হলেও তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধান হবে।