আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন : কক্সবাজার পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ১১, ২০২৩ , ১২:২১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : ট্রেনে সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারে যাওয়ার পথ খুলবে আজ। অগ্রাধিকারের এই প্রকল্প উদ্বোধন করতে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্রকল্প উদ্বোধনের মাধ্যমে ১৩ বছরের প্রচেষ্টা সফল হবে। চালু হবে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার শহর পর্যন্ত নবনির্মিত রেলপথ।
শনিবার সকালে রাজধানী ঢাকা থেকে আকাশপথে কক্সবাজার যান প্রধানমন্ত্রী। দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. সবুক্তগীন জানিয়েছেন, শনিবার সকালে সরকারপ্রধান প্রথমে কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশনে সুধী সমাবেশে অংশগ্রহণ এবং স্টেশনের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। এর পর প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে চড়ে রেললাইন পরিদর্শন করে রামু পর্যন্ত যাবেন। সেখান থেকে যাবেন মহেশখালী। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে সাজ সাজ রব উঠেছে সমুদ্রের কোলঘেঁষা প্রত্যন্ত জনপদ মহেশখালীর মাতারবাড়িতেও। নির্মাণাধীন ১২শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটসহ, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে এ উপলক্ষে জনসভারও আয়োজন করেছে ক্ষমতাসীনরা। রেলসেবা সম্প্রসারণ, বন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ একগুচ্ছ কৌশলগত প্রকল্পের উদ্বোধনে পাল্টে যাবে পুরো এলাকার প্রতিচ্ছবি-এমন প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
সবশেষ ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রয়াসে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ৯৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার।
উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা ১৫টি প্রকল্প হলো– ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ের দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন, ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাতারবাড়ী ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, ৬৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে কুতুবদিয়া দ্বীপকে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে সংযুক্তকরণ, ৪৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁকখালী নদীর ওপর কস্তুরাঘাট-খুরুশকুল সংযোগ সেতু, ২৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ভূমি ভরাট, প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ, অ্যাপ্রোচ রোড ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজ, উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ডিজাইন ও স্থাপনকরণ, মহেশখালী গোরকঘাটা-শাপলাপুর জনতা বাজার সড়ক মজবুত ও প্রশস্তকরণ, কুতুবদিয়ায় কৈয়ারবিল আরসিসি গার্ডার ব্রিজ, চকরিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনাল সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, ঈদগাঁও জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, মহেশখালী ইউনুচখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ, উখিয়া রত্নাপালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ। ২৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে রামু কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রকল্পটি উদ্বোধনের তালিকায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা বাদ পড়েছে।
যে তিন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে, সেগুলো হলো– ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে টেকনাফ মাল্টিপারপাস ডিজাস্টার রিসিলেন্ট শেল্টার কাম আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ ও ২৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে রামু উপজেলা জোয়ারিয়ানালা-নন্দাখালী সড়কে ১৮৪ মিটার দীর্ঘ গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ। ১৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার সদরে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ (চতুর্থ পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণ। একই সময় ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ের মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের টার্মিনাল-১ নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না।
তবে অন্য প্রকল্পগুলোর তুলনায় সাধারণ মানুষের বেশি আগ্রহ কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মিত রেলপথ নিয়ে। কারণ, ঢাকা থেকে পর্যটনের শহরে ট্রেনে যেতে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন অনেকেই।