আগামী নির্বাচনে আমার জয় ঠেকাতে চান জেনারেলরা: ইমরান খান
পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৪, ২০২৩ , ২:৫৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব
দিনের শেষে ডেস্ক : আবারও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান বলেছেন, সেনাবাহিনীর জেনারেলরা আগামী নির্বাচনে তার বিজয় ঠেকানোর চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর এই প্রচেষ্টা দেশটিতে একটি দুর্বল সরকারের পথ প্রশস্ত করবে। অথচ পাকিস্তানে এখন চরম আর্থিক সংকট বিরাজ করছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
লাহোরের জামান পার্কে অবস্থিত নিজের বাসভবনে শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্লুমবার্গের সঙ্গে আলাপকালে খান তার সমর্থকদের গ্রেফতার করার জন্য সরকারের সমালোচনা এবং সেনাবাহিনীর চাপের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, পরবর্তী নির্বাচনের আগে তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টিকে ‘ভেঙে চুরমার’ করতে চাইছে তারা। অক্টোবরের মাঝামাঝি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ তার আগে সরকার বলছে, গেল মে মাসে সামরিক ভবনে যে হামলা হয়েছে, তার জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে। গত ৯ মে ইমরান খানকে একটি মামলায় গ্রেফতার করলে পাকিস্তানজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। দুই দিন পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গত বছরের এপ্রিলে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে ক্ষমতা হারান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যদিও এর পর থেকে যত জরিপ পরিচালিত হয়েছে, তার সবগুলোতে ইমরান খান জনপ্রিয় নেতা হিসেবে প্রমাণ হয়েছেন। সেই সঙ্গে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে বেশ কিছু সফল সমাবেশ করেছে পিটিআই, যেখানে পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি লোকের সমাগম হয়েছে।
অথচ মে মাসের ঘটনায় সরকার দলটির বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। যদিও পিটিআই প্রধান হামলায় দলটির জড়িত থাকার বিষয় অস্বীকার করেছেন। ওই ঘটনার পর দলটির বেশ কিছু সিনিয়র নেতা পদত্যাগ করেছেন। যদিও ইমরান খান অভিযোগ করেছেন যে, তার দলের নেতাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। অক্টোবরে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ইমরান খান বলেন, ‘এটা পুরোটাই নির্ভর করছে এস্টাব্লিশমেন্টের (সেনাবাহিনী) ওপর। তারা যখন দেখবে পিটিআই আর নির্বাচনে জিততে পারবে না, এবং সেটা নিশ্চিত হলেই নির্বাচনের ঘোষণা দেবে।’
তবে সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রীর এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে সরকার ও সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও ব্লুমবার্গের অনুরোধে সাড়া দেয়নি কেউ। যদিও উভয়ই (সরকার ও সেনাবাহিনী) এর আগে বলেছে, ইমরান খান এবং তার সমর্থকরা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সম্পত্তিতে হামলার মাধ্যমে সীমা অতিক্রম করেছে।