আজকের তারাবিতে জ্ঞানার্জন ও জ্ঞানীদের নিয়ে থাকছে বিশেষ অালোচনা
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৩, ২০১৬ , ৪:৪১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: ধর্ম ও জীবন
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দশক রহমতের আজ ৭ম দিন। আজকের তারাবিতে পবিত্র কোরআনে কারিমের তেলাওয়াতকৃত অংশের বিশেষ উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হচ্ছে দ্বীনী শিক্ষার গুরুত্ব। সূরা তওবার ১২২ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘তাদের প্রত্যেক দলের এক অংশ বের হয় না কেন, যেন তারা দ্বীন সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং নিজেদের সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারে, যখন তারা তাদের নিকট ফিরে আসবে। যাতে তারা সতর্ক হয়।’
ইসলাম ধর্মে জ্ঞার্নাজনের জন্য বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। জ্ঞান অর্জনের জন্য হিজরত বা ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার গুরুত্ব জিহাদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। এই আয়াতে ঈমানদারদেরকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, ধর্মীয় বিধি-বিধান গভীরভাবে উপলব্ধির জন্য এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য যোগ্য-সামর্থবান একদল মুসলমানকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে হবে এবং সুদূর কোনো দেশ বা শহরে গিয়ে হলেও জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এরপর নিজ এলাকায় ফিরে এসে জ্ঞানের আলো বিতরণের কাজে নিযুক্ত হতে হবে এবং নিজের গ্রাম বা শহরের মানুষকে ধর্মীয় বিধি-বিধান সম্পর্কে সচেতন করার জন্য কাজ করতে হবে। ইসলাম ধর্মে জ্ঞান অর্জনের ব্যাপারে খুব বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এমনকি যুদ্ধ চলাকালীন সময়েও জ্ঞান চর্চার ব্যাপারে উদাসীন না থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
দ্বীনী জ্ঞান অর্জন প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমের আরও অনেক স্থানে আলোচনা করা হয়েছে। ওই সব স্থানে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং দ্বীনী জ্ঞান দান করা হয়েছে মহান আল্লাহ মর্যাদায় তাদের উন্নত করবেন।’ –সূরা মুজাদালা: ১১
‘হে আমার প্রভু আমার দ্বীনী জ্ঞান বৃদ্ধি কর।’ –সূরা ত্বহা: ১১৪
‘নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে দ্বীনের জ্ঞানীরাই তাকে ভয় করে।’ –সূরা ফাতির: ২৮
‘যারা দ্বীনী জ্ঞান অর্জন করেছে, আর যারা দ্বীনী জ্ঞান অর্জন করেনি তারা কি সমান (মর্যাদার অধিকারী)?’ –সূরা যুমার: ৯
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ যার কল্যাণ কামনা করেন তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন।’ –সহিহ বোখারি: ৭১
‘দ্বীনী জ্ঞান শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ।’ -ইবনে মাজাহ: ২২৪
‘যারা জনসাধারণকে দ্বীন শেখায় আল্লাহর তাদের ওপর রহমত বর্ষণ করেন। ফেরেশতারা তাদের জন্য মগফেরাতের দোয়া করে। আকাশবাসী ও পৃথিবীবাসীরা তাদের জন্য রহমতের দোয়া করে। এমনকি গর্তের পিঁপড়া ও পানির মাছও তাদের জন্য রহমতের দোয়া করে।’ –সুনানে তিরমিজি: ২৬৮৫
‘যে ব্যক্তি দ্বীন শেখার জন্য পথে বের হয়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। তালেবে ইলমের সম্মানার্থে ফেরেশতারা তাদের ডানা অবনত করেন। আকাশ ও পৃথিবীর অধিবাসীরা আলেমের জন্য মাগফেরাতের দোয়া করেন। এমনকি, পানির মাছও তার জন্য মাগফেরাতের দোয়া করে। আবেদের ওপর আলেমের শ্রেষ্ঠত্ব তারকারাজির ওপর পূর্ণিমার রাতের চাঁদের শ্রেষ্ঠত্বের মতো। আলেমরা নবীদের উত্তরাধিকারী। নবীগণ সোনা-রূপার মহর রেখে যান না। তারা দ্বীনের শিক্ষা রেখে যান। যে ব্যক্তি তা গ্রহণ করে, সে বিশাল সৌভাগ্যের অধিকারী হয়।’ –সুনানে আবু দাউদ: ৩৬৪৩