আজকের দিন তারিখ ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অন্যান্য আজ পহেলা আষাঢ়

আজ পহেলা আষাঢ়


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৫, ২০২০ , ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অন্যান্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : আজ সোমবার ১৪২৭ বঙ্গাব্দের আষাঢ়ের প্রথম দিন। বর্ষাকালের শুরু আজ। যদিও এবার প্রকৃতি বৃষ্টিস্নাত কিছুদিন আগে থেকেই। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহের বিপরীতে বৃষ্টিঝরা প্রহরের যে প্রত্যাশা তা এবার ততটা প্রকাশ্য নয়। করোনার অতিমারি এবার অন্যান্য উৎসব অনুষ্ঠানের মতো বর্ষা উৎসবকেও স্বাস্থ্যবিধির আওতায় ঘরবন্দি করে রেখেছে। তবু বর্ষার সঙ্গে প্রকৃতি ও ফসলের যেমন হৃদ্যতা, তেমনি শিল্প-সাহিত্য ও সংগীতের সঙ্গে এর অন্তরঙ্গতা অস্বীকার করা যায় না। অবিরাম ধারায় যখন বৃষ্টি ঝরে, তখন তা হয়ে ওঠে প্রকৃতিরই অনুপম সংগীত। রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ লিখেছিলেন : ‘এই জল ভালো লাগে— বৃষ্টির রুপালি জল কত দিন এসে/ধুয়েছে আমার দেহ— বুলায়ে দিয়েছে চুল— চোখের উপরে/তার শান্ত স্নিগ্ধ হাত রেখে খেলিয়াছে— আবেগের ভরে’। আষাঢ়-শ্রাবণের বহুমাত্রিক রূপবৈচিত্র্য নিয়ে বাংলায় রচিত হয়েছে অজস্র গান আর কবিতা। বর্ষার বিচিত্র ও সার্থক ব্যবহার হয়েছে গল্প-উপন্যাসেও। বাল্মীকি থেকে কালিদাস হয়ে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত বর্ষা ঋতুর যে বর্ণনা, যে আবেদন, তাতে প্রকৃতির এই বিশেষ সময়কালের রূপমাধুরী উঠে এসেছে নানাভাবে। রবীন্দ্রনাথের হাতে বর্ষা রূপ পেয়েছে প্রকৃতির রোমান্টিক প্রতিমা হিসেবে। বর্ষা ঋতুকে তিনি কবিতা-গানে তুলে ধরেছেন বহু বর্ণিল অবয়বে। অসংখ্য গান, কবিতা, ব্যক্তিগত চিঠিসহ নানা লেখায় কবিগুরু বর্ষাকে মহিমান্বিত করেছেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘আজি বাদল ঝরে মোর একেলা ঘরে।’ কবি শামসুর রাহমান লিখেছেন, ‘বর্ষাকে আমি ভালোবাসি আমার প্রিয়জনের মতো করে।’ আবার অতি বর্ষা ক্ষতিকরও। বন্যার শঙ্কা থাকে সব সময়ই। তাই প্রার্থনা, পরিমিত বৃষ্টি হোক। আমাদের যতটুকু বৃষ্টি দরকার, সৃষ্টিকর্তা আমাদের ততটুকুই বৃষ্টি দিন। গত বছরও আষাঢ়ের প্রথম দিনে প্রতিবারের মতো বর্ষাকে বরণ করে নেওয়া হয়েছিল সাড়ম্বরে। তবে এবার করোনার প্রাদুর্ভাবে তেমন কোনো আয়োজন নেই। নেই গান, নেই কবিতা, তার চেয়েও বেশি করে নেই মানুষের সম্মিলিত কলরব। তবু স্বাগত বর্ষাকে