আপনি আমাদের সাহসের ছবি
পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ১২, ২০২৩ , ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক প্রকাশ করছেন হাজার হাজার মানুষ। এই মহান মুক্তিযাদ্ধার প্রতি সম্মান জানাচ্ছেন সবাই। কবি ইমতিয়াজ মাহমুদ লিখেছেন, “এ পৃথিবী একবার পায় তারে, পায় নাকো আর।” শাহাদাত স্বাধীন লিখেছেন, কঠিন সময়ে আলোকবর্তিকা হাতে দাঁড়ানো আমাদের ‘ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল’ জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এই জাতি আপনার প্রতি চিরঋণী। লেখক ফরহাদ মজহার লিখেছেন, বাংলাদেশকে আগামি দিনে যারা নিশ্চিত সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে, তোমাদের অনুরোধ করি শোক বাদ দাও, বরং মহতের কাছে মহৎ হওয়া শেখার চেষ্টা কর। কিভাবে দুর্র্ধষ সাহস ও শক্তি নিয়ে যারা বাঁচে, যারা আমাদের কাছে জীবনের মানে নিজের জীবন দিয়ে প্রমাণ রেখে যায় শেখ কিভাবে তাদের কাছ থেকে জীবনী শক্তি আহরণ করতে হয়। সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন লিখেছেন,ভাই, আপনি আমাদের সাহসের ছবি..।
সাংবাদিক গোলাম মোর্তুজা লিখেছেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশের নায়ক, আইকন। সারাটা জীবন কাটিয়ে গেলেন কাউকে তোয়াক্কা না করে। জীবনকে ব্যয় করে গেলেন দেশের গরিব মানুষের জন্য। সৎ, নির্লোভ, নির্ভিক ৮১ বছরের চির তরুণ যাপন করে গেলেন সার্থক ও পরিপূর্ণ এক জীবন। অনুকরণীয়, অনুসরণীয় মানুষটির জীবনের কাহিনি মিথকেও হার মানায়ৃ।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলী রীয়াজ লিখেছেন, কিছু মৃত্যুর সংবাদ আমাদের স্তব্ধ করে দেয়, বাক্যহীন করে দেয়। অনেক সময় পার হয়ে যায়, তার পরেও মনে হয় এখনও সব কথা গুছিয়ে তোলা হয়নি – এখনও কিছু সময় থাকা দরকার নিস্তব্ধ। মহীরুহের মত যিনি তাঁর মৃত্যুতে মনে হয় তাঁর কোন অবদানের কথা বলবো – তাঁর জীবনই তো কর্মময়, কোনটাকে বাদ দেব? ৮১ বছরের জীবনের সবটাই যিনি উৎসর্গ করলেন তাকে কোন শব্দ, কোন ভাষা ধারন করতে পারে? এক দুঃসময়ে দাঁড়িয়ে মনে হয় – তাঁর জীবন কেনো আমাদের প্রয়োজনে আরো দীর্ঘ হয়ে উঠলোনা? কিন্ত এই যে তাঁর বেঁচে থাকার সময়টি সেই সময়ে আমরা তাকে কী দিয়েছি? আগামীতে আমরা তাকে কীভাবে মনে রাখবো? (জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ২৭ ডিসেম্বর ১৯৪১-১১ এপ্রিল ২০২৩)