আজকের দিন তারিখ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস ‘আমি নিয়মিত পারফর্ম করছি, বুড়োও হইনি’- চুক্তি হারিয়ে খাজার ক্ষোভ

‘আমি নিয়মিত পারফর্ম করছি, বুড়োও হইনি’- চুক্তি হারিয়ে খাজার ক্ষোভ


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৩, ২০২০ , ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


দিনের শেষে ডেস্ক  : টেস্ট ও ওয়ানডেতে নিয়মিত পারফর্ম করার পরও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন উসমান খাজা। এ নিয়ে সিএ’র নির্বাচকদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
অনেক আলোচনার পর খাজা অজি জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান ২০১১ সালের অ্যাশেজে। কিন্তু ২০১৪তে তাকে চুক্তি থেকে বাদ দেয়া হয়। নিজ যোগ্যতায় ফের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা করে নেন তিনি। ৩৩ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান এখন পর্যন্ত ৪৪ টেস্টে ৪০.৬৬ গড়ে সংগ্রহ করেছেন ২৮৮৭ রান। ৮ সেঞ্চুরির সঙ্গে রয়েছে ১৪ হাফসেঞ্চুরি। ২০১৩তে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকের পর ৪০ ম্যাচে ৪২ গড়ে ১৫৫৪ রান করেছেন খাজা। ২টি সেঞ্চুরি ও ১২টি হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। গত বছর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন। ওই ফর্মের সুবাদে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ দলেও জায়গা করে নেন। খাজাকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার যুক্তি- সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ঘরের মাঠের আসন্ন আসরকে সামনে রেখে দল সাজাচ্ছে তারা। সেজন্যই খাজা, মার্কাস স্টয়নিসসহ ৬ জনকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দিয়েছে তারা। কিন্তু খাজাকে কি খুব বেশি টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া? ২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেকের পর মাঠে নেমেছেন মাত্র ৯ ম্যাচে। ১ ফিফটিতে তার সংগ্রহ ২৪০ রান। স্ট্রাইকরেট ১৩২.৪১। সবমিলিয়ে নির্বাচকদের প্রতি ক্ষোভই ঝারলেন খাজা। তিনি বলেছেন, ‘কোনো দম্ভ ছাড়াই বলতে পারি, আমি অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান সেরা ৬ ব্যাটসম্যানের একজন।  আমি পারফর্ম করে যাচ্ছি। এমন নয় যে আমার বয়স ৩৭-৩৮ হয়ে গেছে আর আমি ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে উপনীত।’ খাজাকে বাদ দেয়ার আরেকটি যুক্তি হলো তিনি স্পিনে ভালো নন। তবে খাজা মনে করেন, রান করাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তো রান করা।’ খাজাকে বাদ চুক্তি থেকে বাদ দেয়ার বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ২০১৫ বিশ্বকাপজয়ী ক্লার্ক হাতাশা ব্যক্ত করে বলেন,  ‘আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, তার মতো একজন প্রতিভাধর ব্যাটসম্যানের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা হলো না। গত ১০ বছরে এত এত রান করেছে সে। অথচ সে কি না  ২০ জনের তালিকায় নেই!’