আমীর খসরুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ১, ২০২১ , ১২:৫৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি
দিনের শেষে প্রতিবেদক : অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয় সেগুনবাগিচায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে সকাল সোয়া ১০টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর আগে আমির খসরু তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম এবং ভায়রা (স্ত্রীর বোনের স্বামী) গোলাম সরোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার তলব করে দুদক।
জানা যায়, দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা কমিশনের উপ-পরিচালক সেলিনা আক্তার গত মঙ্গলবার তাদের তলবি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।
২০০৮ সালের ১৬ অগাস্ট অবৈধ লেনদেন, অর্থপাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমীর খসরুকে তলব করে নোটিশ দিয়েছিলেন দুদকের তৎকালীন পরিচালক কাজী শফিকুল। ওই নোটিশে একই বছরের ২৮ আগস্ট বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।
আমীর খসরুর বিরুদ্ধে বেনামে পাঁচতারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনসহ বিভিন্ন দেশে অর্থপাচারের পাশাপাশি স্ত্রী, পরিবারের অন্য সদস্য ও নিজের নামে শেয়ার কেনাসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়ার কথা ওই নোটিশে বলা হয়েছিল। ওই তলবে আমীর খসরু উপস্থিত না হওয়ায় পরে একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর হাজির হতে আরেকটি নোটিশ পাঠিয়েছিল দুদক। কিন্তু তিনি নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এরপর ২০১৮ সালেরই ১০ সেপ্টেম্বর দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে একটি চিঠি পাঠান তিনি। হাইকোর্টে এই রিট ‘বিচারাধীন’ জানিয়ে এর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ না নিতে সেখানে অনুরোধ করা হয়। পরে একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ওই রিট আবেদন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য তোলা হলে তা সরাসরি খারিজ করে দেন আদালত। পরে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট আমীর খসরু ও তার স্ত্রীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে আলাদা নোটিশ দিয়েছিল দুদক। ওই নোটিশে অনুসন্ধানে আমীর খসরুর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বেশি নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের প্রমাণ মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এর আগে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর আমির খসরু ও তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলমকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় দুদক।