আরও বাড়তে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩ , ৪:১৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে সারা দেশে এ পর্যন্ত প্রায় সাত শ জন মারা গেছেন। জনস্বাস্থ্যবিদ ও কীটতত্ত্ববিদদের আশঙ্কা, এ মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়তে পারে। তবে তাঁদের কথা, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে তিনটি তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগের একটিও এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে সেগুলোর দরকার ছিল। এখনো যদি উদ্যোগগুলো নেওয়া যায়, তাহলে এ রোগের রাশ টানা ও প্রাণহানি রোধ সম্ভব হবে, এমন মত জনস্বাস্থ্যবিদদের। যে তিনটি উদ্যোগের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো হলো রোগীর ওপর নজরদারি, মশার ওপর নজরদারি এবং কীটনাশকগুলো মশা প্রতিরোধী হয়ে উঠছে কি না, সে বিষয়ে নজরদারি। এই তিন কাজ বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটি সাধারণত সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশক্রমেই এসব কাজ করে থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক মশার নজরদারি এ জন্যই দরকার, কারণ এরাই তো কামড়ে জীবাণু ছড়ায়। আর লার্ভার নজরদারি আমাদের বলে দেয়, ভবিষ্যতে মশার বিস্তার কতটা হতে পারে। নজরদারি চলা উচিত বছরজুড়ে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া বা বাইরে থাকা রোগী কোন সময়, কোথায় আক্রান্ত হচ্ছে সে বিষয়টিই উঠে আসে নজরদারিতে। এ ক্ষেত্রে শুধু রোগী নয়, জনগোষ্ঠীর মধ্যে যাঁরা আক্রান্ত হননি, দৈবচয়নের মাধ্যমে তাঁদের নমুনাও পরীক্ষা করা হয়। ডেঙ্গুর চারটি ধরন রয়েছে। এর মধ্যে কোনটির মাধ্যমে রোগী আক্রান্ত হলেন, সেটা এই নজরদারিতে উঠে আসে। আইইডিসিআরের উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন বলেন, রোগীর নজরদারিতে রোগী শনাক্ত ও তাদের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকে। এটা করবে আইইডিসিআর। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে এটা করতে তাদের বলা হয়নি। কিছু কিছু জরিপ হচ্ছে। কিন্তু জরিপ ও নজরদারি তো এক জিনিস না। এটা সার্বক্ষণিকভাবে চলবে। আর এখানে পাওয়া উপাত্ত মাঠপর্যায়ের কর্মী থেকে শুরু করে নীতিনির্ধারকেরাও ব্যবহার করবেন। তা মোটেও হচ্ছে না। কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবীরুল বাশার বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক মশার নজরদারি এ জন্যই দরকার, কারণ এরাই তো কামড়ে জীবাণু ছড়ায়। আর লার্ভার নজরদারি আমাদের বলে দেয়, ভবিষ্যতে মশার বিস্তার কতটা হতে পারে। নজরদারি চলা উচিত বছরজুড়ে। তৃতীয় বিষয়টি হলো এর গতিপ্রকৃতি বোঝা। এর মাধ্যমে মশার আচরণ, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে মশার পরিবর্তন, রোগ ছড়ানোর ক্ষমতা দেখা হয়। তিন নজরদারির কোনোটিই আমাদের নেই। আইইডিসিআরের পরিচালক তাহমিনা শিরীন রোগীর নজরদারির বিষয়ে বললেন, আমরা ১৫টি রোগ নিয়ে নজরদারি করি। ডেঙ্গু অপেক্ষাকৃত নতুন রোগ। ডেঙ্গু নিয়ে নজরদারির প্রক্রিয়া ঠিক করার কাজ চলছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তিনবার জরিপ করে। আসলে মশার নজরদারি খুব বড় একটি বিষয়। এটা আমাদের দেশে হয়ইনি। নজরদারির বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো তাগাদা ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তাহমিনা শিরীন বলেন, আমি বিজ্ঞানের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে পারব। এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না।’