আজকের দিন তারিখ ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য আর্থিক ক্ষতির মুখে বস্ত্র শিল্প

আর্থিক ক্ষতির মুখে বস্ত্র শিল্প


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ৫, ২০২০ , ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


অর্থবাণিজ্য ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে গার্মেন্টস পণ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে এ খাতের প্রধান কাঁচামাল বস্ত্র ও সুতার মিলগুলোও। কেবল রপ্তানিমুখী পোশাকের কাঁচামাল সরবরাহকারী মিলই নয়, স্থানীয় বস্ত্র ও গার্মেন্টস পণ্যের কাঁচামালের জোগান দেওয়া মিলগুলোও বড়ো ধরনের আর্থিক সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে। বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, আসছে বৈশাখী উৎসব কার্যত বন্ধ থাকছে। অন্য দিকে করোনা ভাইরাসের প্রভাব দীর্ঘদিন থাকলে আগামী ঈদেও চাহিদা কমে যাবে। এর ফলে বড়ো আকারের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে অনেক বস্ত্র শিল্পই টিকে থাকতে না পেরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে শিল্প টিকিয়ে রাখতে সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে এ খাতের শিল্পোদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। বিশেষত সুতা কাপড়ের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করা, বিদ্যমান টার্ম লোনের সুদ ছয় মাসের জন্য মওকুফ করা ও দুই বছরের মধ্যে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া, ছয় মাসের জন্য গ্যাস-বিদ্যুৎসহ পরিষেবার বিল ব্লক অ্যাকাউন্টে রেখে পরবর্তী এক বছরের মধ্যে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া, এ খাতে ব্যবহার হওয়া সব ধরনের কেমিক্যালের ওপর শুল্ককর প্রত্যাহার করা এবং বন্দরে আটকে থাকা কাঁচামাল ও পণ্যের ওপর কোনো ধরনের বাড়তি চার্জ আরোপ না করার দাবি জানানো হয়। সূত্র জানিয়েছে, এসব দাবি সংবলিত একটি চিঠি গতকাল অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের কাছেও পাঠানো হয়েছে। বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, করোনা ভাইরাসের এ পরিস্থিতিতে ভয়াবহ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে দেশের টেক্সটাইল মিলগুলো। সরকারের নীতি-সহায়তা না পেলে বহু মিল ব্যবসা থেকে হারিয়ে যাবে। বেকার হবে লাখ লাখ শ্রমিক। বিটিএমএর সূত্র জানিয়েছে, কেবল করোনা ভাইরাসজনিত সমস্যার কারণে মিলগুলোতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার সুতা ও কাপড়ের মজুদ পড়ে রয়েছে। বর্তমানে বিটিএমএর সদস্য মিলগুলোর ৪৫০টি স্পিনিং মিলের মধ্যে প্রায় আড়াইশ স্পিনিং মিল দেশে স্থানীয়ভাবে বস্ত্রের জোগান দেয়। পাশাপাশি তাঁতশিল্পের প্রয়োজনীয় সুতা সরবরাহ করছে। অন্যদিকে ৮৫০টি উইভিং মিলের মধ্যে প্রায় ৫০০ মিল স্থানীয় বাজারের জন্য কাপড় তৈরি করছে। রয়েছে ২০০টির মতো ডাইয়িং ফিনিশিং মিলও। সব মিলিয়ে বিশাল বিনিয়োগের এ শিল্প খাত এখন বলতে গেলে বসে রয়েছে। টেক্সটাইল মিল উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বৈশাখের উৎসব ও রমজানের ঈদকেন্দ্রিক বজারের জন্যই তারা বেশির ভাগ বস্ত্র সরবরাহ করেন। ফলে এ সময়ে টেক্সটাইল মিল অধ্যুষিত এলাকায় একধরনের কর্মচাঞ্চল্য তৈরি হয়। কেবল বৈশাখী উৎসবকেন্দ্রিকই স্থানীয় বস্ত্রখাতের বাজার প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার। অন্য দিকে রমজানের ঈদকেন্দ্রিক এই বাজার অনেক বড়ো। বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে এ দুটি  উৎসবকেন্দ্রিক বাজারের জন্য উৎপাদন ব্যবস্থাই অনিশ্চয়তায় পড়েছে।