আজকের দিন তারিখ ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// আলোর পথে যাত্রা সফল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

আলোর পথে যাত্রা সফল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ২১, ২০২২ , ৪:২০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


পটুয়াখালী প্রতিনিধি ; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৭ মার্চ ১৯২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম গ্রহণ করেন। যার জন্ম না হলে আমরা কোনদিন স্বাধীনতা পেতাম না। জাতি হিসেবে মর্যাদা পেতাম না। মার্চ মাসের ২৬ তারিখে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ২৫শে মার্চ যে গণহত্যা শুরু করে তার পরপরই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। আর এই মার্চ মাসেই আমরা সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। আলোর পথে যাত্রা সফল হয়েছে। সোমবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড কর্তৃক নির্মিত ‘পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, রমজান ও ঈদ উপলক্ষে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে উপহার হিসেবেও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আলোর পথে উন্নয়ন-সমৃদ্ধির পথে আমাদের এই যাত্রা কেউ দমাতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা অর্জনের অনেক পূর্বেই এ অঞ্চলে বিদ্যুতায়নের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে বন্ধ শিল্প কারখানাগুলো চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা সরকার গঠন করার পর বিদ্যুৎ পেয়েছিলাম ১৬০০ মেগাওয়াট, ২০০০-২০০১ অর্থবছরে তা ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিলাম। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মাধ্যমে ৫৪ হাজার ৪৮৯ কি. মি. বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন নির্মাণ করে ১৩ হাজার ৭১৩টি গ্রামকে বিদ্যুতায়িত করি এবং আরও ৩৪ হাজার গ্রামকে বিদ্যুতায়িত করার পরিকল্পনা নেই। আমরা ৩২ হাজার নতুন সেচপাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেই।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ সালে সরকারে এসে আমরা বিদ্যুৎ পেয়েছি মাত্র ৩ হাজার২৬৭ মেগাওয়াট। বর্তমানে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট। ১৩ বছরে ৩০,৬৬৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৫৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এ সময়ে আমদানিসহ মোট ১৯,৬২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করেছি ও ১৪৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করেছি।

তিনি বলেন, পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি এখন পর্যন্ত স্থাপিত দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ১৩তম আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহারকারী দেশ। এই কেন্দ্রে জ্বালানি সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব ক্লিন কোল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসীর সুন্দর ভবিষ্যৎ, সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করে আমি, পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের (১ম পর্যায়) শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও দেশি-বিদেশি ডেলিগেটরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম।