ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করবেন স্বজনরা
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৯, ২০২০ , ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
দিনের শেষে প্রতিবেদক : রাজধানীর গুলশানের অভিজাত ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলার যে অভিযোগ উঠেছিল, তদন্ত প্রতিবেদনেও তাই প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন নিহতদের স্বজনরা। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তারা হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। এদিকে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু তদন্ত প্রতিবেদন যথেষ্ট নয়। প্রতিবেদনটি সহায়ক হিসেবে কাজ করলেও এ মামলার ক্ষেত্রে আসামিদের অবহেলার অভিযোগগুলো সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণ করতে হবে। তা না হলে অনেকাংশই পার পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে পুলিশ বলছে, ডিএমপির গুলশান বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ইতোমধ্যে আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও অবহেলাজনিত অভিযোগে হওয়া একটি মামলার তদন্ত কাজ অনেকটাই এগিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে কার কার অবহেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। দুটি তদন্ত প্রতিবেদনই মামলার ক্ষেত্রে আমলে নেয়া হবে। সর্বোপরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার পর আদালতের নির্দেশনার ভিত্তিতেই পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তাঁবু টানিয়ে অস্থায়ী একটি আইসোলেশন ইউনিট করেছিল ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ। গত ২৭ মে রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই ইউনিটে আগুন লেগে ভারনন এ্যান্থনি পল (৭৪), মো. মনির হোসেন (৭৫), খোদেজা বেগম (৭০), মো. মাহবুব (৫০) ও রিয়াজুল আলম (৪৫) নামে ৫ জন মারা যান। সে সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)
গুলশান বিভাগের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়। পরে নিহত মুক্তিযোদ্ধা ভারনন এ্যান্থনি পলের জামাতা রোনাল্ড মিকি গোমেজ বাদী হয়ে গত ৩ জুন অবহেলাজনিত ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ কাজের অভিযোগ এনে হাসপাতালটির চেয়ারম্যান, এমডি, সিইও, পরিচালক, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্স, সেফটি ও সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গত বুধবার ওই হাসপাতালের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রহমান খান, সিইও মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান এবং পরিচালক ও চিফ ক্লিনিক্যাল গভর্নেন্স ডা. আবু সাঈদ এম এম রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগকে চিঠি দেয় ডিএমপির গুলশান বিভাগ।