আজকের দিন তারিখ ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব ইসরাইলকে তদন্তের আওতায় নিয়ে আসার দাবি এরদোগানের

ইসরাইলকে তদন্তের আওতায় নিয়ে আসার দাবি এরদোগানের


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ১২, ২০২৩ , ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক : ইসরাইলি সৈন্যরা গাজা উপত্যকায় টানা ৩৬ দিন ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ফিলিস্তিনের ১১ হাজারের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পারমাণবিক বোমা ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন ইসরাইলি এক মন্ত্রী। এর জেরে বেশ তোপের মুখে পড়েছিলেন তিনি। এবার এ ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র, যার অস্তিত্ব ইসরাইলি মন্ত্রীরা স্বীকার করেছেন, সেগুলোর বিষয়ে তদন্ত করা উচিত। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় তুরস্ক কাজ করতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। খবর আনাদোলুর। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে জরুরিভাবে আয়োজিত আরব-ইসলামিক যৌথ শীর্ষ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। সেখানে তিনি বলেন, পরমাণু অস্ত্র থাকার বিষয়টি ইসরাইলি মন্ত্রীরা স্বীকার করে নিয়েছেন এবং এই বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিত। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার নিয়ন্ত্রণের বাইরে যদি পারমাণবিক বোমা পাচার হয়ে থাকে, তা হলে সেগুলো অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে। প্রেসিডেন্ট এরদোগান আরও বলেন, ইসরাইল পশ্চিমা দেশগুলোর নষ্ট হয়ে যাওয়া সন্তানের মতো কাজ করে থাকে এবং ইসরাইলি প্রশাসন যে ক্ষতি করেছে, তার ক্ষতিপূরণ তারা দিতে বাধ্য। এই অঞ্চলে যুদ্ধবিরতির আহ্বান এবং স্থায়ী শান্তির বিষয়ে এরদোগান বলেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তা রক্ষার জন্য আমরা গ্যারান্টার হিসাবে কাজ করাসহ প্রয়োজনীয় সব প্রচেষ্টা চালাতে প্রস্তুত। তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, জেরুজালেম আমাদের রেড লাইন। শান্তির শহর হিসেবে পরিচিত জেরুজালেম এবং সব ফিলিস্তিনি ভূমি তাদের পুরনো সময়ে ফিরে আসুক এটাই আমাদের কামনা।

প্রসঙ্গত, গাজা উপত্যকায় ইসরাইল পারমাণবিক বোমা ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ইসরাইলি এক মন্ত্রী। এই মন্তব্যের পর ইসরাইলের চরম ডানপন্থি রাজনৈতিক দল ওৎজমা ইহুদি পার্টির ওই মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভার সব বৈঠক থেকে বরখাস্তের ঘোষণা দেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।