ঈদযাত্রায় ৩৭২ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪১৬
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ১২, ২০২২ , ২:০৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : ঈদযাত্রায় ৩৭২ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৬ জন নিহত হয়েছে। সেই কারণে মোটরসাইকেল-ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ দাবি উত্থাপন করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক-মহাসড়কে ৩৭২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪১৬ জন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন ৮৪৪ জন। ২৫ লাখ মোটরসাইকেল এবং ৪০ লাখ ইজিবাইক যাত্রী পরিবহনের বহরে থাকায় দুর্ঘটনা বেড়েছে। ২৬ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত ১৫ দিনের ঈদযাত্রায় এসব দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে ছিল মোটরসাইকেল। এবারের ঈদযাত্রায় ১৬৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৫ জন নিহত ও ১১০ জন আহত হয়েছে। এ পরিসংখ্যান মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, নিহতের ৩৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং আহত ১৩ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দেশে বর্তমানে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক ক্যান্সারের মতো বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন গড়ে ১৫০ জন রোগী পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। ঈদের সময় তা বেড়ে ২০০ থেকে ২৫০ জন পর্যন্ত পৌঁছেছে। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে দুই শতাধিক সড়ক দুর্ঘটনায় রোগী ভর্তি হচ্ছে। গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় ভোগান্তি ও যানজট থেকে বাঁচতে মানুষ বিকল্প হিসেবে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট পরিবহন ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছে। এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে আমরা সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের প্রতিরোধে মোটরসাইকেল-ইজিবাইক আমদানি বন্ধের পাশাপাশি গণপরিবহনকে বিকশিত করার দাবি করছি।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, প্রতি বছর ৫ লাখ মোটরসাইকেল বিপণন করে ব্যবসায়ীরা ৫ হাজার কোটি টাকা আয় করছে। কিন্তু অন্যদিকে দুর্ঘটনায় ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। মোটরসাইকেল গণপরিবহনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে না। জাপান সরকার সড়কে ২৫ শতাংশ মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে দেশটিতে দুর্ঘটনা কমেছে ৫০ শতাংশ। অথচ বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান মোটরসাইকেলের ব্যবহারে সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঝুঁকিও বাড়ছে। এ বিষয়ে এখনই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি প্রয়োজন। তা না হলে ভবিষ্যতে সড়কের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব হয়ে পড়বে।