ঈদে শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১৯, ২০২১ , ১২:৩৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : কোরবানি ঈদের দুইদিন আগে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষ। সোমবার ভোর থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী মানুষের ঢল নামে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। ফেরি ও লঞ্চে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষকে।
এ নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে ৮৬টি লঞ্চে যাত্রী পারাপার করে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। লঞ্চ ছেড়ে দেওয়ার সাথে সাথে আবার মানুষের ভিড় জমে যায়। লঞ্চের পাশাপাশি যাত্রীরা ফেরিতেও পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌরুটে ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৬টি ফেরি সচল থাকলেও অর্ধ সহস্রাধিক যানবাহন পদ্মা পার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকার কারণে নদী পার হতে সময় বেশি ব্যয় হচ্ছে। লঞ্চে এবং ফেরিতে যাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন প্রবণতা দেখা যায়নি। লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করার নিয়ম থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোট ও স্থানীয় প্রশাসন মাইকিং করাসহ বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। গাদাগাদি করে যাত্রীরা লঞ্চে ও ফেরিতে উঠছে। স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই ফেরি ও লঞ্চে যাত্রী পারাপার করার ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রচণ্ড স্রোতের কারণে এ নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চ পারাপার হতে সময় প্রায় দ্বিগুণ লেগে যাওয়ার কারণে দু’প্রান্তে যাত্রীদের ভিড় ও যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রচণ্ড স্রোতের মধ্যে এ রুটে অতিরিক্ত যাত্রী ভর্তি ছোট ছোট লঞ্চগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ফেরিতেও একই অবস্থা। লঞ্চে উঠতে না পেরে ফেরিতেও যাত্রী পদ্মা পার হচ্ছে। গরু ভর্তি ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ ঢাকামুখী যাত্রীও রয়েছে।