ঈদ শেষে ফিরতি যাত্রায়ও ফেরিতে ভিড়
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ২৭, ২০২০ , ৩:২৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
দিনের শেষে প্রতিবেদক : ৩১ মের পর বাড়ছে না সাধারণ ছুটি। এ ঘোষণার পর বুধবার বিকেল থেকেই ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভেঙে ভেঙে সবাই গন্তব্যের দিকে ছুটছেন। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের ঢাকার ফেরার অন্যতম রুট মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ও মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে সকাল থেকেই। সন্ধ্যার পর এ ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ। যাত্রীরা লঞ্চ, সি-বোট ও মহাসড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত টাকা খরচ করে ভেঙে ভেঙে কাঁঠালবাড়ী এসে গাদাগাদী ও ঠাসাঠাসি করে ফেরিতে করে পদ্মা পারি দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। এখানে এসে এসব যাত্রীরা কোনো প্রকার গণপরিবহন না পেয়ে আবারো স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও অটোতে করে রাজধানী ঢাকায় ফিরছে। বুধবার সরেজমিনে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, এ নৌ-রুটের ফেরিগুলো যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে ব্যস্ত সময় পার করছে। ফেরিগুলোতে পণ্যবাহী যানবাহনের তুলনায় ব্যক্তিগত বা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশি। এ সময়ে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে প্রায় তিন শ যানবাহনকে অপেক্ষমান থাকতে দেখা গেছে।বিআইডব্লিটিসির শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন অফিসার আহম্মদ আলী ও মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, ৪টি রোরো, ৪টি কেটাইপ, ২টি মিডিয়াম ও ১টি ছোটসহ মোট ১১টি ফেরি চলাচল করছে এ নৌ রুটে। তবে এ নৌ রুটের পদ্মায় ঢেউ থাকায় ড্রাম বা ঠেলা ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। গেল দুদিন ধরেই ফেরিতে করে হাজার হাজার যাত্রী পারাপার হচ্ছে। তবে এখন ঢাকামুখী যাত্রীই বেশি। যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এরা করোনা সংক্রমণের কথা ভুলে গিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই গাদাগাদি করে ফেরিতে পার হচ্ছে।