আজকের দিন তারিখ ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস/////, জাতীয় ‘উত্তরপত্র ভুল মূল্যায়নে জড়িতদের শাস্তি হবে’

‘উত্তরপত্র ভুল মূল্যায়নে জড়িতদের শাস্তি হবে’


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১, ২০১৬ , ৩:২০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////,জাতীয়


nahidঅনলাইন প্রতিবেদক : বরিশাল বোর্ডে এসএসসিতে ‘হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা’ বিষয়ের উত্তরপত্র ভুলভাবে মূল্যায়নের ঘটনায় জড়িতদের বরখাস্ত, বেতন বন্ধসহ শাস্তি পেতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

সচিবালয়ে নিজ দফতরে বুধবার (১ জুন) শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন বলেও জানান নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তিনি বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই করে আমরা চিহ্নিত করতে পারব কাদের কারণে এ সমস্যাটা হয়েছে। এর ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেব। কিছু ব্যবস্থা আমরা নিজেরা অবশ্যই নিতে পারব। সাসপেন্ড করব, বেতন বন্ধ করব, তারপরে চূড়ান্ত বিচারে চাকরি থাকবে কি থাকবে না তাও ঠিক করা হবে।’

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘এর বাইরে আরও কিছু করণীয় আছে কি না, কোনো ক্রিমিনাল প্রশ্ন আসে কি না সে বিষয়ে আমরা আদালতের সাহায্য নেব।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এর জন্য দায়ী হবেন পরীক্ষার খাতার সঙ্গে ফল মেলানোর জন্য যারা শিট দিয়েছেন তারা। অমনযোগী ছিলেন অথবা ভুল করেছেন অথবা তারা দায়সারা কাজ করেছেন। ভুলভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়নের ঘটনায় সার্বিক তত্ত্বাবধানে কোনো সমস্যা আছে কি না এবং আগে থেকে প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি ছিল কি না তাও যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

রবিশাল বোর্ডে ‘হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা’ বিষয়ের নৈর্ব্যক্তিক উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় দুই প্রধান পরীক্ষক ‘খ’ ও ‘গ’ সেট গুলিয়ে ফেলেন। তারা ‘খ’ সেট প্রশ্নের মূল্যায়ন করেন ‘গ’ সেটের উত্তরপত্রের মাধ্যমে আর ‘গ’ সেটের মূল্যায়ন করেন ‘খ’ সেটের উত্তরপত্রের মাধ্যমে।

গত ১১ মে এসএসসির ফল প্রকাশিত হয়। বরিশাল বোর্ড থেকে এবার এসএসসিতে হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে ১০ হাজার ৪৯২ জন পরীক্ষা দেয়। এদের মধ্যে ৫ হাজার ৮০৯ জন ফল পুনর্বিবেচনা ও যাচাইয়ের আবেদন করে।

গত ১৪ মে সংশোধিত ফলাফলে ১৯৯৪ জনের ফল পরিবর্তন হয়। তাদের মধ্যে ফেল থেকে পাস করে এক হাজার ১৪১ জন, ৭৯ জন নতুন করে জিডিএ-৫ পায়।

ফেল করার খবর শুনে আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থী সর্বজিৎ ঘোষ নামের এক শিক্ষার্থীও সংশোধিত ফলাফলে পাস করে। এ ফল বিভ্রাটের ঘটনা তদন্তে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সচিবকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়।