উপসর্গহীন করোনা রোগীদের নিয়ে অবস্থান পাল্টাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১০, ২০২০ , ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : কভিড-১৯ বা নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত উপসর্গহীন রোগীদের নিয়ে একদিন আগে করা মন্তব্য থেকে সরে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এ সংস্থাটির শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেজ্ঞ ডা. মারিয়া ভন কেরখোভ মঙ্গলবার জেনেভায় বলেছেন, উপসর্গহীন রোগী থেকে সংক্রমণ কতটা ছড়ায় তা এখনো ‘বড় অজানা’ হয়ে রয়ে গেছে। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একদিন আগে সোমবার ডা. মারিয়া বলেছিলেন, উপসর্গহীন ব্যক্তিদের কাছ থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর ঘটনা বেশ কম। ডা. মারিয়ার এ বক্তব্যের পর বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা প্রতিক্রিয়া দেখাতে থাকেন। মঙ্গলবার অবস্থান পাল্টে ডা. মারিয়া বলেন, খুব অল্প সংখ্যক গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তিনি আগের মন্তব্যটি করেছিলেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, উপসর্গযুক্ত রোগীরা বেশি সংক্রামক। তবে উপসর্গ প্রকাশ পাওয়ার আগেই ভাইরাসটি একজনের থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে পড়তে পারে। উপসর্গহীন আক্রান্তদের মাধ্যমে অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু তা এখনও কোনো গবেষণাতেই স্পষ্ট করা হয়নি। ডা. মারিয়া বলেন, যে সব দেশে কঠোরভাবে কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করা হয়েছে, সেসব দেশ থেকে তথ্য উপাত্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পাঠানো হয়েছে। সেগুলো বিশ্লেষণ করেই আগের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন তিনি। তবে এখন এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে অধিকতর তথ্যের বিশ্লেষণ প্রয়োজন। সর্বসম্মত ও নিশ্চিত সিদ্ধান্ত নিতে হলে আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন রয়েছেন বলে মনে করেন ডা. মারিয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টুইটার পেজ থেকে করা সংবাদ সম্মেলনে ডা. মারিয়া আরও বলেন, উপসর্গহীন রোগীদের নিয়ে তার আগের বক্তব্য সংস্থার নীতিমালার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বিশ্বজুড়ে ঠিক কত শতাংশ উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত রয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, আক্রান্ত মোট রোগীর ৩৫ শতাংশের ক্ষেত্রে কোনো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। ডা. মারিয়া বলেন, ১৬ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে কখনোই করোনাভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তবে তারা ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হতে পারে। আনুমানিক ৪০ শতাংশ উপসর্গহীন রোগী ভাইরাসটি ছড়াতে পারে।