এক মাসে ঢামেকে খাবার বিল ২০ কোটি টাকার কী করে হয় : প্রধানমন্ত্রী
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২৯, ২০২০ , ৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
দিনের শেষে প্রতিবেদক : ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের সেবাদানকারী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ১ মাসের খাবারের বিল ২০ কোটি টাকা কী করে হয়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একথা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, বিরোধীদলীয় উপনেতা ঠিকই বলেছেন, এক মাসে ২০ কোটি টাকা খাবার বিল, অস্বাভাবিকই মনে হচ্ছে। এটা আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। এত অস্বাভাবিক কেন হবে? যদি কোনো অনিয়ম হয় আমরা ব্যবস্থা নেব।
এর আগে আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের হাসপাতালের খাবারের বিল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ চিকিসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্পূর্ণ সরকারি খরচে হোটেলে থাকা-খাওয়া ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে থাকা-খাওয়ায় একমাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের হিসাব অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে বলে বিরোধীদলীয় উপনেতা যেটা বলেছেন, এটা স্বাভাবিকভাবেই অস্বাভাবিক মনে হয়। আমরা তদন্ত করে দেখছি, এত অস্বাভাবিক কেন হলো? এখানে কোনো অনিয়ম হলে আমরা তার ব্যবস্থা নেব।
এ সময় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আরও চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীর পদ সৃষ্টি ও নিয়োগের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা আরও ৪ হাজার নার্স নিয়োগ দিচ্ছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছি। শিগগিরই এই নার্স নিয়োগ দেয়া হবে।
সরকার প্রধান বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য অল্প সময়ের মধ্যে দুই হাজার ডাক্তার ও ছয় হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। আরও দুই হাজার চিকিৎসকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা ৪ হাজার নার্স নিয়োগ দেব। সেই নির্দেশ আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ইতোমধ্যে দিয়েছি। তাদের শিগগিরই নিয়োগ দেয়া হবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতে তিন হাজার টেকনিশিয়ানের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
সংসদনেতা বলেন, যন্ত্রপাতি, টেস্ট কিট, সরঞ্জামাদি কেনাসহ চিকিৎসা সুবিধা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা দ্রুততম সময়ে দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি। আরও একটি প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে করোনা মোকাবেলায় আমাদের সামর্থ্য আরও বাড়বে বলে বিশ্বাস করি।