এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ১৩, ২০২১ , ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে প্রতিবেদক : ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলের ওপর আট দিনের বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। আজ এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই সাতদিন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম। ব্যাংক বন্ধ থাকায় পুঁজিবাজারও এই সাতদিন বন্ধ থাকবে বলে বিএসইসি সূত্র জানিয়েছে। এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকলে পুঁজিবাজারের লেনদেন নিষ্পত্তি সম্ভব হবে না। তাই ব্যাংক বন্ধ থাকলে পুঁজিবাজারও বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সাধারন ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে এটিএম, ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ অনলাইন সব সেবা। এছাড়া সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর এলাকার ব্যাংক শাখা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের জন্য খোলা রাখা যাবে। পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের প্রয়োজনে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন করা শাখা (এডি) নির্দিষ্ট দিনের জন্য খোলা রাখা যাবে।
এর আগে বিকালে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ১৩ নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি। নির্দেশনা অনুযায়ী বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ও সব কর্মকর্তা-কর্মচারি নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং এ সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে শিল্প-কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেয়া নিশ্চিত করতে হবে। নির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।
এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনে সম্পূরক নির্দেশনা জারি করতে পারবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।