এমএনপি নিলাম ২১ সেপ্টেম্বর
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৪, ২০১৬ , ২:৫৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
কাগজ অনলাইন ডেস্ক: নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুযোগ তৈরির জন্য মোবাইল নম্বার পোর্টেবিলিটি বা এমএনপি সেবার অপারেটর নিয়োগে নিলাম হবে ২১ সেপ্টেম্বর।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তারিখ ঘোষণা করেন।
এমএনপি সেবা চালুর নীতিমালা, গ্রাহক সেবা ও নিলাম রোডম্যাপসহ সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে বিটিআরসি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শাহজাহান মাহমুদ বলেন, “নিলাম প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর লাইসেন্স হস্তান্তর করে এ বছর সেবা চালু করা যাবে বলে আমরা আশা করছি।”
অপারেটরের সেবায় সন্তুষ্ট না হলেও এখন অনেকে নম্বর পরিবর্তনের ঝক্কিতে যেতে চান না। এমএনপি চালু হলে তারা নম্বর ঠিক রেখেই অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
বহু প্রতীক্ষিত এই সুযোগ তৈরির জন্য গত ২ ডিসেম্বর এমএনপি নীতিমালায় অনুমোদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের কাজ কারা পাবে, সেই প্রক্রিয়া ‘স্বচ্ছ’ করতে কয়েকটি মূল্যায়ন মানদণ্ড যুক্ত করে গত জানুয়ারিতে এমএনপি নীতিমালার সংশোধিত খসড়া চূড়ান্ত করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর পর মে মাসে তা চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
>> এমএনপি সুবিধা দিতে অপারেটরা গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিতে পারবে। অর্থ মন্ত্রণালয় আগেই বিষয়টি অনুমোদন করেছে।
>> একবার এমএনপি সুবিধা নেওয়ার পর গ্রাহক আবার নতুন কোনো অপারেটরে যেতে চাইলে তাকে ৪৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে।
>> বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি বা এমএনপি পরিষেবা চালু রয়েছে।
বিটিআরসি প্রধান জানান, আগামী ১৬ জুন এ নিলামের জন্য আবেদন চাওয়া হবে। জুলাই মাসে প্রি-বিড মিটিং , অগাস্টে বিড আনের্স্ট মানি জমা নেওয়ার পর ২১ সেপ্টেম্বর নিলাম হবে।
নিলাম প্রক্রিয়ায় আবেদন ফি এক লাখ টাকা, বিড আর্নেস্ট মানি ১০ লাখ টাকা, নিলামের ভিত্তি মূল্য এক কোটি টাকা, বার্ষিক লাইসেন্স ফি ২০ লাখ টাকা, রাজস্ব ভাগাভাগি বাবদ প্রথম বছর শূন্য শতাংশ এবং দ্বিতীয় বছর থেকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ব্যাংক গ্যারান্টি বাবদ এক কোটি টাকা দিতে হবে।
প্রাথমিকভাবে একটি প্রতিষ্ঠানকে এই লাইসেন্স দেওয়া হবে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, এর মেয়াদ হবে ১৫ বছর। পরে সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে পাঁচ বছরের জন্য নবায়ন করা যাবে।
ভবিষ্যতে প্রয়োজন অনুযায়ী আরও লাইসেন্স দেওয়া হতে পারে বলেও শাহজাহান মাহমুদ জানান।
বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খানসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।