আজকের দিন তারিখ ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: ১৭৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: ১৭৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ২০, ২০২০ , ২:১৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে ডেস্ক :  সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনা অনুসন্ধানে গঠিত কমিটির ১৭৬ পৃষ্ঠার বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে এসএমপির শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় আটজন কারাগারে রয়েছে।

ধর্ষণের ঘটনার ওইদিন রাতেই এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান কালে পুলিশ ছাত্রলীগ নেতা এম সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে বিদেশি পিস্তল, চারটি রামদা, দুটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। পরে সাইফুর রহমানকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে। এই অস্ত্র মামলায় সাইফুর রহমানকেও রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ। ২৯ সেপ্টেম্বর বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন। ওইদিন তিনি জানান, কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণ থেকে রক্ষায় অবহেলা ও কলেজ ক্যাম্পাসে অছাত্রদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কলেজ অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারের নীরবতায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ওই ঘটনার দায় নিরূপণ অনুসন্ধান করতে হাইকোর্ট একটি কমিটি করে দিয়েছেন।

সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেস্ট এবং সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) এর সমন্বয়ে কমিটি করা হয়। এই কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনার অনুসন্ধান করে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবে। এ আদেশ অনুসারে কমিটি ঘটনা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন হাইকোর্টে পাঠায়। সেটি মঙ্গলবার আদালতে দাখিল করা হয়। এরপর আদালত মামলাটি ১ নভেম্বর কার্যতালিকায় রাখার আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।