আজকের দিন তারিখ ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব, সারাবিশ্ব লীড ‘ওমর মতিন নিজেই সমকামী ছিল’

‘ওমর মতিন নিজেই সমকামী ছিল’


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৪, ২০১৬ , ৫:৪৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব,সারাবিশ্ব লীড


omar_mateenকাগজ অনলাইন ডেস্ক: ওমর মতিন নিজেই সমকামী ছিলেন এবং স্ত্রীর সঙ্গেও সময় কাটাতেন। দ্বিমুখী জীবন যাপন করতেন তিনি।

সমকামীদের নাইটক্লাবে হামলাকারী হিসেবে ওমর মতিনকে শনাক্ত করার পর তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিভিন্ন তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসছে। এরমধ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো- সমকামীদের হত্যাকারী ওমর মতিন নিজেই সমকামী ছিলেন।

ওমর মতিনের প্রাক্তন স্ত্রী এবং কয়েকজন বন্ধু দাবি করেছেন, মতিন সমকামী ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি সমাকামীদের নাইটক্লাবে যাতায়াত করতেন।

এ তথ্য উঠে আসার পর আগের ধারণা পাল্টে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছিল, সমকামীদের প্রতি ঘৃণা থেকে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হয়ে তিনি এ হামলা চালিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের অরল্যান্ডো শহরে সমকামীদের পালস নামের নাইটক্লাবে ঢুকে বন্দুক হামলা চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যা করেন ওমর মতিন। এ ঘটনায় আহত হয় ৫৩ জন। ঘটনাস্থলে একটি লাশের ওপর পড়ে থাকা বন্দুক ও পরিচয়পত্র দেখে মতিনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

গণমাধ্যমে আরো বলা হয়েছে, সমকামীদের ডেটিং অ্যাপস গ্রিন্ডর ও জ্যাক’ড ব্যবহার করতেন মতিন। এ দুই অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে অন্য পুরুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন তিনি।

মতিনের জীবনের ঘটনাপ্রবাহ থেকে এটি ধারণা করা হচ্ছে, ২০০৬ সাল থেকে সমকামিতায় আসক্ত হন মতিন। সে সময় এক ছেলে বন্ধুকে ডেটিংয়ের জন্য ক্লাস থেকে বের হয়ে আসতে বলেছিলেন তিনি। মূলত তখন থেকে মতিন সমকামীদের ক্লাবে যাতায়াত শুরু করেন এবং অনলাইনের পুরুষদের সঙ্গে চ্যাট করতে থাকেন।

মতিনের প্রথম স্ত্রী সিতোরা ইসুফাই (২৭) জানিয়েছেন, মতিনের পরিবার মনে করে, মানসিকভাবে অস্থির থাকার কারণেই সে নাইটক্লাবে ৫০ জনকে হত্যা করেছে। মতিন এমন এক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছিল, যেখানে তার সামনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল- সে আসলে কে? সমকামী না স্বাভাবিক? মানসিক অস্থিরতা ছাড়া হত্যাকান্ডের পেছনে কোনো উগ্রবাদী যোগসূত্র ছিল না বলে মনে করেন সিতোরা ইসুফাই।

এদিকে নাইটক্লাবের বন্ধুরা দাবি করেছেন, ক্লাবের এক কোণে চুপচাপ বসে থাকতেন মতিন। তবে কখনো কখনো মদ্যপ হয়ে হইহুল্লোড় করতেন। কখনো স্ত্রী-সন্তানের কথা বলতেন।