আজকের দিন তারিখ ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// ওমিক্রনের তাণ্ডব : গড়ে বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা

ওমিক্রনের তাণ্ডব : গড়ে বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জানুয়ারি ২৬, ২০২২ , ৩:৫৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


সানি আজাদ :  ওমিক্রনের তাণ্ডবে দেশে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। বাড়তি রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে সংক্রমিত হচ্ছেন চিকিৎসক-নার্সরাও। বর্তমান সারাদেশের গড় সংক্রমণের হারের চেয়েও চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা বেশি হারে সংক্রমিত হচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে যদি আশঙ্কাজনক হারে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হতে থাকেন, তাহলে সেটা পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলবে। জানা গেছে, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের ল্যাবরেটরিতে ৩৪ জন চিকিৎসকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত ২৪ জানুয়ারি। এর আগে ২০ জানুয়ারি করোনা শনাক্ত হন ২৯ জন চিকিৎসক। গত ১৭ জানুয়ারি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ। তাদের মধ্যে ছিলেন ১১ জন চিকিৎসক এবং ছয় জন নার্স। তার আগের দিন ১৬ জানুয়ারি শনাক্তের হার ছিল ৩৯ শতাংশ। নমুনা দেওয়া ১৭ জন চিকিৎসকের মধ্যে ১৪ জন, চার জন নার্সের মধ্যে তিন জন এবং অন্যান্য পাঁচ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে তিন জন পজিটিভ শনাক্ত হন। তার আগের দিন ১৫ জানুয়ারি ১১ জন চিকিৎসকের মধ্যে পজিটিভ হয়েছিলেন সাত জন। শীতকালে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, নিউমোনিয়া, শ্বাসতন্ত্রের রোগ অন্য সময়ের তুলনায় অনেকাংশে বেড়ে যায়। এ সময়ে এতজন চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা এভাবে আক্রান্ত হতে থাকলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা তৈরি হবে, এতে কোনও সন্দেহ নেই। একই অবস্থা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি ল্যাবেও। ল্যাব স্টাফদের মধ্যে সম্প্রতি চিকিৎসক, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও এমএলএসএস মিলিয়ে সাত জন পজিটিভ শনাক্ত হন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নুসরাত সুলতানা বলেন, আমাদের জন্য পরিস্থিতিটা ভীষণ অ্যালার্মিং। এভাবে যদি চিকিৎসকসহ অন্যরা আক্রান্ত হতে থাকেন তাহলে সেটা পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ ফেলবে। ওমিক্রন এখন ঘরে ঘরে ঢুকে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্তের হার আশঙ্কাজনকভাবে প্রতিদিন বাড়ছে। যখন স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হয়ে যান, তখনতো তাদের রিপ্লেসমেন্ট হবে না। তখন কিন্তু পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলবে।