কদর বাড়ছে জুন ক্লোজিং কোম্পানির শেয়ারের
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ২, ২০২১ , ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে প্রতিবেদক : এক বছরের বেশি সময়জুড়ে পুঁজিবাজার পরিস্থিতি ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। বাজার ভালো থাকায় এ সময় যেমন সব শ্রেণির শেয়ারদর বেড়েছে, তেমনি অনেক নতুন বিনিয়োগকারী বাজারে যুক্ত হয়েছে। এখন বিনিয়োগকারীর পছন্দের তালিকায় রয়েছে জুন ক্লোজিং কোম্পানির শেয়ার। সামনে ডিভিডেন্ড মৌসুম থাকায় গত দুই সপ্তাহ ধরে জুন ক্লোজিং কোম্পানি ঘিরে লেনদেনে মগ্ন রয়েছেন তারা। এরই জেরে বাড়ছে এসব কোম্পানির কদর। প্রাপ্ত তথ্যমতে, জুন ক্লোজিং কোম্পানিগুলো এরই মধ্যে তাদের তৃতীয় প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ শেষ করেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানি আগের চেয়ে বেশি মুনাফায় রয়েছে। বছর শেষে এটা বহাল থাকবে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। এই কারণে ডিভিডেন্ড ঘরে তোলার জন্য এসব কোম্পানিতে ঝুঁকছেন তারা। বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তুলনামূলক ভালো ইপিএস দেখানো কোম্পানিগুলোয় ঝুঁকেছেন তারা। বিনিয়োগকারীদের এই প্রত্যাশা পূরণের বিষয়টি পুরোটাই নির্ভর করে কোম্পানির সর্বশেষ হিসাব-নিকাশের ওপর। শেষ প্রান্তিকে এসে যদি হিসাবে গরমিল হয় তবে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার প্রতিফলন নাও হতে পারে মুনাফায়। আর যদি ধারাবাহিকতা বজায় থাকে, তাহলে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণ হবে। কিন্তু যদি তিন প্রান্তিকে ভালো মুনাফা দেখানোর পর শেষ প্রান্তিকে মুনাফা কমে যায়, কিংবা লোকসান হয়, তাহলে সেই কোম্পানি ভালো ডিভিডেন্ড দেয়ার সক্ষমতা হারাবে। গত দুই সপ্তাহে প্রকৌশল, বস্ত্র, ফার্মা ও রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, সিমেন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ডসহ জুন ক্লোজিংয়ের শেয়ার ও ইউনিটের দর যেমন ইতিবাচক প্রবণতায় রয়েছে, লেনদেনেও ছিল ঊর্ধ্বগতি। কোম্পানিগুলোর ডিভিডেন্ড ঘোষণার সময় যতো ঘনিয়ে আসছে, শেয়ারগুলোর কদরও ততোটা বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে বাজারসংশ্লিষ্টরা বলেন, যেসব কোম্পানির জুন ক্লোজিং সেসব কোম্পানির দর বাড়া স্বাভাবিক। কারণ সামনেই এসব কোম্পানি থেকে ডিভিডেন্ড ঘোষণা আসবে। তাছাড়া বর্তমানে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর খুব কম, অর্থাৎ ক্রয়যোগ্য। এসব কোম্পানির শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাতও অনেক কম। সম্পদ মূল্যও ভালো। ফলে কোম্পানিরগুলোর শেয়ারদর বাড়াটা স্বাভাবিক। তবে বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই ভালো কোম্পানির সঙ্গে থাকতে হবে, কারণ বাজারে অবিনিয়োগযোগ্য বা ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানির সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।
এদিকে জুন ক্লোজিংয়ের কারণে গত সপ্তাহজুড়ে ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারের চাহিদা ও লেনদেনে কিছুটা ভাটা দেখা গেছে। ডিসেম্বর ক্লোজিং হওয়ার কারণে এসব কোম্পানির শেয়ার দরেও কিছুটা নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামনে জুন ক্লোজিং শেয়ারের আরও কদর বাড়বে। অন্যদিকে, ডিসেম্বর ক্লোজিং শেয়ারের কদর কিছুটা কমবে। যদিও সেটা হবে সাময়িক।
এ প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, সামনে ডিভিডেন্ড মৌসুম। বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী ডিভিডেন্ডের মাধ্যমে মুনাফা করতে চান। বিনিয়োগকারীদের এই প্রবণতা সঠিক। তবে এই ক্ষেত্রে কোম্পানি বাছাই করতে হবে ভেবেচিন্তে। কারণ সব কোম্পানি থেকে ভালো ডিভিডেন্ড আসবে না। তাই বিনিয়োগের আগে দেখা দরকার ওই কোম্পানির আগের ডিভিডেন্ড দেয়ার হার কেমন। সেই সঙ্গে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার দিকে নজর দিতে হবে।