করোনায় মৃত্যু বাড়ছে: এখনই সতর্ক হতে হবে
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ২২, ২০২১ , ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সম্পাদকীয়
করোনা ভাইরাস নিয়ে উৎকণ্ঠা, ভয় শেষ না হতেই দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার প্রস্তুতি রেখেছে সরকার। কয়েকদিনে করোনায় দ্রæতগতিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্তের হার বেড়েছে ৯১ শতাংশ। একই সঙ্গে মৃত্যু বেড়েছে ৮৬ শতাংশ। বিষয়টি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও গবেষকদের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসতে পারে লকডাউনের মতো সিদ্ধান্তও। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার রূপ বদলেছে। তবে চিকিৎসা ব্যবস্থা একই। নিয়ন্ত্রণ করার কাজও একই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। গতকাল রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৮ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮ হাজার ৬৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে ২০ শতাংশ। গত সপ্তাহে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৪৭০, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬ হাজার ৫১২ জন। সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত্যু বেড়েছে ৮৬ শতাংশ। ১৪ মার্চ থেকে গতকাল পর্যন্ত ১৬১ জনের মৃত্যু হয়। এহেন বাস্তবতার মধ্যেও করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মানুষের অনীহা, অসতর্কতা এবং বেপরোয়া মনোভাব দেখা যাচ্ছে। দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় করোনা মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। সেসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে কাজ করছে সরকার। কিন্তু সরকারের একার পক্ষে তা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। উদ্বেগের বিষয় হলো, করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা খুবই কম। শুরুর দিকে মানুষ কিছুটা সতর্ক হলেও এখন মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি ব্যাপারে চরম উদাসীনতা লক্ষ করা যাচ্ছে অনেকের মধ্যে। এমন আচরণ ঠিক নয়। করোনা প্রতিরোধে ইতোমধ্যে গৃহীত পদ্ধতিগুলোর ওপরই আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। বাড়ির বাইরে গেলে মাস্ক পরা, বার বার হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে জনগণের যেমন সচেতনতা ও সতর্কতা প্রয়োজন, তেমনি সরকারেরও দায়িত্ব রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানা গেছে। এমতাবস্থায় নতুন করে বিষয়টি ভাবতে হবে।