আজকের দিন তারিখ ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসায় বাউফলে স্বাস্থ্য কর্মীর ওপর হামলা

করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসায় বাউফলে স্বাস্থ্য কর্মীর ওপর হামলা


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২৯, ২০২০ , ৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : নারায়নগঞ্জ ফেরত এক যুবকের করোনা সনাক্ত হওয়ায় এক নারী স্বাস্থ্য কর্মী ও তার স্বামীকে লাঞ্ছিত করেছে রোগির স্বজনরা। এ ঘটনায় আটকের পর করোনা আক্রান্ত রোগিকে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলিউশন ও কোয়ারেইন্টিনে পাঠানো হয়েছে আরো ৯ জনকে। পটুয়াখালীর বাউফলের বিলবিলাস গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় কয়েকজন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, এ মাসের মাঝামাঝি নারায়নগঞ্জ ফেরত বিলবিলাস গ্রামের রিপন (১৮) নামে এক যুবকের গত ২২ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শেবাচিম) ল্যাবে পাঠিয়ে হোমকোয়ারেইন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু নিয়ম-নীতির কোনই তোয়াক্কা না করে এলাকায় যত্রতত্র ঘোরাঘুরি ও চলাচল করে আসছিল সে। রোববার (২৬ এপ্রিল) করোনা পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায় তার। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ রিপন ও তার আত্মীয়-স্বজনরা। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগে তথ্য দিয়ে নমুনা সংগ্রহের ব্যাপারে বাউফল সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মরিয়ম বেগম ও তার স্বামী অনিচুর রহমানকে দায়ি করে ও তাদের ওপর চড়াও হয় রিপনের আত্মীয়-স্বজন। হামলা চালিয়ে লাঞ্ছিত করা হয় স্বাস্থ্য কর্মী মরিয়ম ও তার স্বামী আনিচুর রহমানকে। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে সহকারি কমিশনার (ভূমি) আনিচুর রহমান বালি ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা (প.প) কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহার (পিকে সাহা) নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকের পর পৌর সদরের বাউফল সরকারি কলেজে রিপনকে প্রাতিষ্ঠানিক আইসিলিউশন ও তার বাবা-মা, ভাই-বোনসহ তার সংস্পর্শে আসা আরো ৯ জনকে হোম কোয়ারিন্টিনে পাঠায়। নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেইন্টিনে থাকতে বলা হয় স্বাস্থ্য কর্মী মরিয়ম বেগম ও তার স্বামী অনিচুর রহমানকেও। এর আগে হোম কোয়ারেইন্টিন নিশ্চিত  করা হয় রিপনের সংস্পর্শে আসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরো একজন ডাক্তারের। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা (পিকে সাহা) দিনের শেষে প্রতিনিধিকে জানান, ‘আত্মীয়-স্বজনসহ মোট ১০ জনকে আটকের পর আক্রান্ত যুবককে প্রাতিষ্ঠানিক আউসিউলিশনে ও অন্যদের কোয়ারেইন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীর ওপর হামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এ পর্যন্ত মোট ৮০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানোর পরে ৩০ জনের রিপোর্ট পাওয়া যায়। এর মধ্যে উপজেলার বিলবিলাস এলাকার ওই যুবক রিপনসহ পূর্ব-কালাইয়া এলাকার ৫জন, কালিশুরী বন্দরের ১ জন ও চন্দ্রদ্বীপের ১ জন নিয়ে মোট ৮ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে।