আজকের দিন তারিখ ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// করোনা হবে এইডসের মতো, যা কখনোই শেষ হবে না: হু

করোনা হবে এইডসের মতো, যা কখনোই শেষ হবে না: হু


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ১৪, ২০২০ , ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে ডেস্ক : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে স্থবির পুরো পৃথিবী। দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ মারণ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে প্রায় অর্ধ কোটি মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। করোনার তাণ্ডবে বিশ্বজুড়ে এই যখন অবস্থা তখন হতাশার খবর দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থার বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান বলেছেন, আমার মনে হয়, আমাদের এক্ষেত্রে বাস্তবতা উপলব্ধি করাটা গুরুত্বপূর্ণ। এই মহামারির শেষ কোথায়, এটা কেউ বলতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। কোভিড-১৯ হয়ত বিশ্ব থেকে কখনও নির্মূল হবে না। জেনিভায় সংস্থার নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে তার এই হতাশাজনক বক্তব্য আসে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের দৈনিক গার্ডিয়ান। ব্রিফিংয়ে রায়ান বলেন, এক্ষেত্রে কোনো দিনক্ষণ নেই, কেউ আশা দিতে পারবে না। এটা আমাদের জন্য দীর্ঘ সমস্যা হিসেবে রয়ে যাবে, হয়ত কখনও নেই হয়ে যাবে না। পাঁচ মাস আগে চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ছোঁয়াচে এ ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে প্রায় গোটা পৃথিবী লকডাউনে যাওয়ায় বিশ্বের অর্থনীতি এখন বিপর্যস্ত। দিশেহারা মানুষ পথ খুঁজছে এ থেকে পরিত্রাণের। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে ঘুম হারাম করে গবেষণা চালাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। নানা দেশে প্রায় ১০০টি টিকা ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে। যদিও এসবের বেশিরভাগই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটির (৮টি) ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অর্থাৎ মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে ইতোমধ্যে। তবে তাতেও ততটা আশাবাদী নন ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞ রায়ান। তিনি বলেন, হামেরও তো টিকা আবিষ্কার হয়েছে, দেওয়াও হচ্ছে, তাতে তো হাম নির্মূল হয়নি। এইডসেরও এখনও কার্যকর টিকা আবিষ্কার হয়নি বলে তা রয়েই গেছে বিশ্বে। তেমন হলে নতুন করোনাভাইরাসকে সঙ্গী করেই বাঁচার পথ খুঁজতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মাইক রায়ান বলেন, এই রোগের ঝুঁকি হ্রাসে জাতীয়, আঞ্চলিক, বৈশ্বিক পর্যায়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস বলেছেন, এই মহামারি আটকানোর দায়িত্ব এখন বিশ্বের প্রতিটি মানুষের। এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে প্রত্যেককে। তবে কোনো কিছুতেই তাড়াহুড়ো না করার পরামর্শ দিয়েছেন ডব্লিউএইচওর আরেক বিশেষজ্ঞ মারিয়া ফন কার্শভ বলেন, আমাদের এটা ভাবনায় আনতে হবে যে এই মহামারি থেকে বেরিয়ে আসতে সময় লাগবে।