কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: দেশব্যাপী গুপ্তহত্যা-জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সিরিজ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ লক্ষে আগামী ১২ ও ১৩ জুন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি সাংগঠনিক ১০৯টি ইউনিটের প্রধানদের নিয়ে বর্ধিত সভা ও কর্মশালার আয়োজন করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভা ও কর্মশালায় সংগঠনের গতিশীলতা বাড়াতে দিক-নির্দেশনা দেবেন সংগঠনের সাবেক শীর্ষ নেতারা। দেশের প্রতিটি জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ইউনিটের নেতারা এতে অংশ নেবেন। তাদেরকে সাংগঠনিক রিপোর্টও জমা দিতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। আগামী ১২-১৩ জুন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নতুন কমিটির প্রথম বর্ধিত সভা ও কর্মশালার প্রস্তুতি তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সাধারন সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ।
তিনি বলেন, দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিএনপি-জামায়াত চক্রান্ত করছে। এই মুহৃর্তে দেশের বড় সমস্যা হচ্ছে গুপ্তহত্যা ও জঙ্গিবাদ। আগুন সন্ত্রাস-পেট্রলবোমা আর গুপ্তহত্যা যাই বলেন- তার উৎসস্থল হচ্ছে জামায়াত-বিএনপি। তারা সরকার উৎখাতে ব্যর্থ হয়ে এখন গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সবসময় মাঠে ছিল, আগামীতেও রাজপথে থেকে তাদের মোকাবিলা করবে। যেখানেই নাশকতার চেষ্টা করবে সেখানেই দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
মেয়াদউত্তীর্ন জেলা ইউনিটের সম্মেলন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন- ইতোমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ন হওয়ায় সেগুলোর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্ধিত সভার মাধ্যমে আরো বেশকিছু ইউনিটের সম্মলেনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন বলেন, আগামী ১৫ তারিখের পর জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস ও গুপ্তহত্যার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ছাত্রলীগের সিরিজ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। গুপ্তহত্যায় কারা জড়িত-কোথায় কী পরিকল্পনা হয়- কী করছে সে ব্যাপারে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরিতে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক সফর করা হবে। সর্বশেষ ঢাকায় একটি বৃহৎ ছাত্র সমাবেশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এরশাদুর রহমান চৌধুরী, কাজী এনায়েত, ইমতিয়াজ বুলবুল বাপ্পি, আরিফুর রহমান লিমন, আমিনুল ইসলাম, সৈয়দ আশিক, মাকসুদ রান্না মিঠু, নিশিতা ইকবাল নদী, মেহেদী হাসান রনি, আসাদুজ্জামান আসাদ, কাজী আবদুস সাত্তার মাহবুব, আবদুল বাছেত গালিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক লালন, চন্দ্র শেখর মন্ডল, শেখ ফয়সল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জসিম উদ্দিন, আশিকুল পাঠান সেতু, প্রচার সম্পাদক সাইফুদ্দিন বাবু, দফতর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা প্রমুখ।