কাঠগড়ায় ওসি প্রদীপের মোবাইল ব্যবহার: দায়িত্বরত চার পুলিশ ক্লোজড
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ১২:১৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : বহুল আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ শুনানির সময় আইনের তোয়াক্কা না করে কাঠগড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বলেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি নজরে এলে আদালতে দায়িত্ব অবহেলার কারণে এক এসটিআইসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ওসি প্রদীপকেও সতর্ক করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান। তিনি বলেন, এসটিআই শাহাব উদ্দিনসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। আদালত সূত্র জানায়, মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস তার ভাইকে হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন আদালতে। এ সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন অভিযুক্ত ১৫ জন। তাদের মধ্যে প্রদীপ দুপুর ১২টার দিকে কাঠগড়ায় নিচু হয়ে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। তার অদূরেই দাঁড়িয়েছিলেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক সদস্য। তিনি প্রদীপকে কথা বলতে বাধা দেননি।
আসামি বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপকে মোবাইল ফোনটি কে দিয়েছেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। একটি সূত্র বলছে, সেখানে দায়িত্বরত এক পুলিশ কনস্টেবল তা সরবরাহ করেন। আদালতের ভেতরের একটি ছবিতে দেখা যায়, কাঠগড়ার ভেতরে হাঁটু গেড়ে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন প্রদীপ। এ সময় তার আশেপাশে কয়েকজন দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রদীপ মোবাইল ফোনে একের পর এক কল করে কথা বলেছেন। সংশ্নিষ্টরা জানান, আদালতের আচরণবিধি অনুযায়ী, আদালত চলাকালে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখতে হবে। অর্থাৎ মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না।
জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল গত ২৭ জুন মামলার চার্জ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন। গত ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও করোনার কারণে তা পিছিয়ে যায়। এ মামলায় ৮৩ জন সাক্ষী রয়েছেন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই কপবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা। পরে তার বোন শারমিন বাদী হয়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। আদালত থেকে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় র্যাবকে। গত বছরের ডিসেম্বরে অভিযোগপত্র দাখিল করেন র্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। এতে ১৫ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।