স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ওই বুলেটিনে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের আটটি স্কুলকে ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্কুলে আগামী মঙ্গলবার থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা যাবে। এর মধ্যে আগামীকাল সোমবার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে টিকাদান কর্মসূচি চলবে। এই আট স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এসব স্কুলে গিয়ে টিকা নিতে পারবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, প্রতি স্কুলে ২৫টি বুথ থাকবে। দিনে চার থেকে পাঁচ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে ২২টি জেলায় স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই এসব জেলায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে বলে ওই বুলেটিনে জানানো হয়েছে। টিকা নেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা ও জন্ম নিবন্ধন নম্বর আইসিটি বিভাগে পাঠাবে। আইসিটি বিভাগ সেটি যাচাই করে সুরক্ষা অ্যাপে দেবে। সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে স্কুল কর্তৃপক্ষ বা শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকেরা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। টিকা নেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের টিকা কার্ড ও জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে।
প্রাথমিকভাবে যে আট স্কুল ও কলেজ চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলো হলো হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সাউথ পয়েন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কাকলি স্কুল, মিরপুর কমার্স কলেজ, স্কলাস্টিকা (মিরপুর) ও সাউথ ব্রিজ স্কুল।
শামসুল হক বলেন, ফাইজারের টিকা দেওয়ার বুথ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হতে হয়। এই আট স্কুলে এসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা ছাড়া আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও টিকা দিতে পারবে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এই আট স্কুলের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে দিয়েছে।
অনলাইন বুলেটিনে আরও জানানো হয়, এর আগে মানিকগঞ্জে পরীক্ষামূলকভাবে ১২০ শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছিল। টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীদের কোনো রকম সমস্যা হয়নি। পরবর্তী সময়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।