কোভিড-১৯: বিশ্বে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১৩, ২০২০ , ২:০০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব
দিনের শেষে ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। নতুন করে ২ লাখ ৩০ হাজার ৭০ জন নতুন রোগী পাওয়া গেছে বিশ্বজুড়ে। ২৪ ঘণ্টার হিসেবে এটা সর্বোচ্চ রোগী শনাক্তের রেকর্ড।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) রোববারের প্রতিবেদনের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় পাওয়া তথ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকায়।
একদিনের ব্যবধানে বিশ্বে করোনা রোগী শনাক্তের আবারও রেকর্ড হল। এর আগে ১০ জুলাই এক দিনে দুই লাখ ২৮ হাজার ১০২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর জানিয়েছিল ডব্লিউএইচও। এতদিন সেটাই ছিল বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সর্বোচ্চ সংখ্যা।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ ড্যাশবোর্ডের তথ্য জানাচ্ছে, নতুন আক্রান্তদের নিয়ে বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্বজুড়ে শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫১ জন।
কোভিড-১৯ এ দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা গত বেশ কিছুদিন ধরে পাঁচ হাজারের কাছাকাছি থাকছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে জানুয়ারির শুরুর দিকে প্রথম মৃত্যুর পর ৭ মাসের মাথায় বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
শনাক্ত ৩৩ লাখ ৪ হাজার ১৪২ জন রোগী নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৮ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি রোগী নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ব্রাজিল। আর তৃতীয় স্থানে থাকা ভারতে ৮ লাখ ৪৯ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে এ পর্যন্ত।
করোনায় মৃত্যুতেও সবার শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ জনের মৃত্যুতে বিশ্বের মৃতের সংখ্যায়ও শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। ৭২ হাজারের বেশি মৃত্যু নিয়ে এরপরই আছে ব্রাজিল। আর তৃতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে ৪৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আমেরিকা মহাদেশে শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজারের বেশি রোগী। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ৩৩ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। ইউরোপে শনাক্ত হয়েছে ১৯ হাজারের মতো রোগী।
কোভিড-১৯ মহামারীতে প্রাণহানি ও আক্রান্তের পরিসংখ্যান রাখা আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্যে বলা হয়েছে, সোমবার বেলা ১২ টায় বিশ্বে করোনাভাইরাসে ১ কোটি ৩০ লাখ ৪১ হাজার ৭১৯ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন ৫ লাখ ৭১ হাজার ৬৭৪ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৫ লাখ ৮৮ হাজার ১২৫ জন।