আজকের দিন তারিখ ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আইপিও কোটা নিয়ে অনিশ্চয়তা

ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আইপিও কোটা নিয়ে অনিশ্চয়তা


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ৯, ২০২১ , ১২:২৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : ২০১০ সালের ডিসেম্বরে মহাধসের পর ২০১২ সালের মার্চ মাসে পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ কোটা বা স্কিম ঘোষণা করে সরকার। ওই স্কিমের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে ২০ শতাংশ কোটা সুবিধা রাখা হয়।
প্রতিবছর আইপিওতে বিশেষ কোটার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরবর্তী বছরের জন্য সময় বাড়ানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ১ জুলাই ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আইপিওতে বিশেষ কোটা সুবিধা এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়। যার মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু নতুন অর্থবছর শুরু হলেও এখনও এই বিষয়ে কোনো নির্দেশনা জারি করেনি অর্থ মন্ত্রণালয়। ফলে আইপিওতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ কোটা সুবিধা অব্যাহত থাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি পুঁজিবাজারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত, যা জুলাইয়ের আগেই জারি করা হয়। এখনও যেহেতু মেয়াদ বাড়ানো হয়নি, তাই এই কোটা না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘গত বছরের জুনে মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের আইপিওতে যে বিশেষ কোটা রাখা হয়েছিল, সেটি এক বছরের জন্য বাড়িয়ে ৩০ জুন ২০২১ সাল করা হয়েছিল। কিন্ত জুলাই মাস শুরু হয়ে গেলেও এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।’
নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ্ই মুখপাত্র বলেন, ‘এটি পর্যালোচনা করার জন্য একটি কমিটি আছে। আমাদের লাইন মিনিস্ট্রি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে। সেখান থেকে যদি কোনো সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যে কোটা রাখা আছে সেটি বাতিল হবে। আর কোনো নির্দেশনা আসলে তা জানিয়ে দেয়া হবে।’ যদি চিঠি না আসে তাহলে কোন আইপিও থেকে তা বাতিল হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে যেসব আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়ে গেছে, সেগুলোতে কোটা রাখা আছে। জুলাই থেকে যেসব কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেয়া হবে, সেগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত কোটা থাকবে না।’ আইপিও শেয়ার বন্টনের লটারি প্রথা বাতিল হওয়ার পর আনুপাতিক হারে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে কার্যকর হচ্ছে। ফলে এই উপায়েও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে।
আইপিও কোটা সংশোধনের যে প্রস্তাব রয়েছে: নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসতে চাওয়া কোম্পানির শেয়ার বণ্টনের খসড়া নীতিমালা গত মার্চ মাসে প্রকাশ করেছে। খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, স্থির মূল্য বা ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে সেসব কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য রাখা হবে ২০ শতাংশ শেয়ার। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য থাকবে ১০ শতাংশ। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য থাকবে ৭০ শতাংশ শেয়ার। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চাইলে ওই কোম্পানির ৩০ শতাংশ শেয়ার রাখা হবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য। সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা পাবেন কোম্পানির ৭০ শতাংশ শেয়ার, যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। বর্তমানে আনুপাতিকহারে সকল বৈধ আবেদনকারীদের শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্যও কোটা সুবিধা রাখা আছে।