কড়িকান্দিতে ঘরে ড্রামভর্তি চাল তবুও ৩৩৩-এ কল!
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৯, ২০২১ , ১২:১০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
তিতাস (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : ঘরের উঠানে চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ। শ্রমিকের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যরাও এ কাজে ব্যস্ত। বসতঘরের বাহির থেকে দেখলে কেউ বলবে না এটি হতদরিদ্র পরিবার। ঘরের ভেতরে গিয়ে পাওয়া গেল নতুন চাল ভর্তি তিনটি ড্রাম, অনেক বস্তায় ভর্তি নতুন ধান, দামি-দামি আসবাবপত্র আর ফ্রিজ। হতভম্ব হয়ে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সরকারি ত্রাণের জন্য ঐ পরিবার থেকে শুক্রবার ৩৩৩-এ চারটি কল আসে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কড়িকান্দি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে অসহায়, দুস্থ ও হতদরিদ্র কিংবা খেটে-খাওয়া শ্রমহীন মানুষের জন্য ৩৩৩-এ সরকারি ত্রাণ বরাদ্দের বিশেষ সেবা চালু আছে। এ সেবা পেতে ৩৩৩-এ কল করেন রাজাপুর গ্রামের আমেনা আক্তার, আজম খান, জোসনা আক্তার ও আমিনা বেগম। শুক্রবার বিকালে রাজাপুরে ত্রাণ দিতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা রাশেদা আক্তার। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন একই পরিবারের জোসনা আক্তার, আজম খান ও আমেনা আক্তার একাধিক ফোন নাম্বার ব্যবহার করে দুটি কল দিয়েছে। যার অন্যদের সহযোগিতা করার মতো সামর্থ আছে। এসময় আমেনা আক্তার আত্মগোপনে ছিলেন। তবে জোসনা আক্তারের স্বামী দিনমজুর ও আজম খান বৃদ্ধ হওয়ায় তাদের মধ্যে সরকারি ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা রাশেদা আক্তার বলেন, ৩৩৩ থেকে একটি মেসেজ আসলে আমাদের ত্রাণ নিয়ে ঐ পরিবারের কাছে দ্রুত ছুটে যেতে হয়। সরকারি অনেক কাজ থাকে, তারপরও মানবিক কারণে আমাদের তাত্ক্ষণিক এ সেবাটি জনগণকে দিতে হচ্ছে। ৩৩৩-তে কল দেওয়ার ক্ষেত্রে জনগণকে আরো সচেতন হতে হবে।