খুলনার ১৮ রুটে চলছে পরিবহন ধর্মঘট, যাত্রীরা মহাবিপদে
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ২১, ২০২২ , ২:৫৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ভটভটি ও তিন চাকার যান বন্ধের দাবিতে খুলনার অভ্যন্তরীণ ১৮টি রুটে চলছে দু দিনের বাস-মিনিবাস ধর্মঘট চলছে। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৬ টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। হঠাৎ করে ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে আগে থেকে জানতে না পারায় গন্তব্যে যেতে বিপদে পড়েছেন অনেক যাত্রী।
যশোর থেকে আসা গৃহবধূ পপি বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি জানতে পারেন বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সংবাদ শুনে তিনি দুপুরের পরে খুলনার উদ্দেশে রওনা হন। পারিবারিক কাজ শেষে যশোরে যাওয়ার উদ্দেশে সোনাডঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে এসে দেখেন কোনো বাস চলছে না। জরুরী ভিত্তিতে তাকে বাড়িতে ফিরে যেতে হবে। ভেবে কোন উপায় না পেয়ে মাহিন্দ্রায় করে যশোরের পথে যাত্রা করবেন বলে চিন্তা করেন। কিন্তু সেখানে বাধ সাধে চালক, তিনি নওয়াপাড়ার বেশি যেতে চান না। ভাড়াও দ্বিগুণ দাবি করেছেন।
পপি বেগম আরও বলেন, ঘরে তার ছোট বাচ্চা রয়েছে। এখন যেতে না পারলে তার বিপদ হয়ে যাবে। তাই যেভাবে হোক তাকে যেতে হবে।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, শনিবার (২২ অক্টোবর) নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ। এই সমাবেশে যাতে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে না পারে এ কারণে পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া কোনো কারণ ছাড়াই নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের আটক করে সমাবেশ বানচাল করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, সব বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল করা হবে। সমাবেশ হবে জনসমুদ্র।
বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বলেন, মাগুরাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে খুলনায় চলে এসেছেন। সমাবেশ সফল হবে।
এদিকে বিএনপি খুলনা মহানগর যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহির বলেন, কোন বাধাই আন্দোলন ঠেকাতে পারেনি। বাধা আসলে মানুষ বিকল্পে পথে সমাবেশে যোগ দিবে। আমরা আগেও পরিবহন শ্রমিকদের চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি। এখন শরীরিকভাবে তাদের বোঝাতে এসেছি। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া মেনে নেওয়া হবে। ধর্মঘটের ডাক দিয়ে তারা ভুল করছে।
এর আগে বুধবার (১৯ অক্টোবর) খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির জরুরি সভায় পরিবহন ২দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সমিতির কর্মকর্তা, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও মালিকদের উপস্থিতিতে সভায় বলা হয়, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সড়ক-মহাসড়কে নসিমন-করিমন, মহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিটিআরসির গাড়িগুলো চলাচল করছে। অবৈধ নছিমন-করিমন মাহেন্দ্র ইজিবাইক ও বিআরটিসির যত্রতত্র কাউন্টার বন্ধের দাবিতে ২১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত দুই দিন মালিক সমিতির সকল গাড়ি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।