আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব গণহারে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনা রাশিয়ার

গণহারে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনা রাশিয়ার


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ২, ২০২০ , ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক :  করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় অক্টোবর থেকে গণহারে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরুর পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরশকো গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে চিকিৎসক এবং শিক্ষকদের ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।

গেলো সপ্তাহে করেনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের দাবি করে রাশিয়া। গামালিয়া ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টারের টিকা ১৫ আগস্টের মধ্যে সাধারণের জন্য বাজারে ছাড়া হবে বলে জানানো হয়। সরকারি তথ্যের বরাতে স্থানীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানায়।

রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রী তাতয়ানা গোলিকোভাও বলেছেন, ‘আগেস্টর মধ্যে টিকার নিবন্ধন হয়ে যাবে। সেপ্টেম্বরে গণউৎপাদন শুরু হবে।’ নিবন্ধন পাওয়ার পর আরেকটি ট্রয়াল শুরু হবে ভ্যাকসিনটির। ১ হাজার ৬শ’ মানুষের উপর ওই ট্রায়াল চালানো হবে। উৎপাদন চলাকালে ট্রয়াল চলবে বলেও জানানো হয়।।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৈরি আরেকটি ভ্যাকসিন শর্তসাপেক্ষে সেপ্টেম্বরে নিবন্ধন পাবে। সেটি অক্টোবরে বাজারে আসতে পারে বলে জানানো হয়। রুশ কর্তৃপক্ষ দ্রুত একটি টিকা চাচ্ছে। কারণ সামনে দেশটিতে শরত এবং শীতকাল। ওই সময়ে স্বাভাবিকভাবে ঠাণ্ডা, ফ্লু এবং শ্বাসযন্ত্রে নারারকম ভাইরাল সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তার সঙ্গে যদি করোনা নতুনভাবে ছড়ায় তাহলে নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়বে যে কারো জন্য। তাই শীত মৌসুমের আগেই ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে রুশ প্রতিষ্ঠানগুলো।

রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরশকো বলেছেন, যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের স্বাস্থ্যের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যক্ষেণে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। নতুন ওই অ্যাপে ভ্যাকসিন গ্রহণকারীর সবধরনের তথ্য হালনাগাদ করে রাখা হয় ‘ ক্লিনিক্যাল ট্রয়ালের অনুমতির জন্য বিশেষজ্ঞরা আরো দুটি টিকা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন বলেও জানান রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে রাশিয়ায় ১ লাখ করোনা রোগী রয়েছে। হাসপাতালে চিতিৎসা নিচ্ছে গুরতর অসুস্থ ৮ হাজার রোগী। বাকিদের মৃদু উপসর্গ থাকায় বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।’ দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৮ লাখ ৩৫ হাজারের মতো। মারা গেছে ১৩ হাজার ৮শ’র বেশি। সুস্থ হয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজারের কাছাকাছি।