গত পাঁচ বছরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা প্রায় তিন গুণ
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ৯, ২০২১ , ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : গত পাঁচ বছরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ প্রাণহানি হয়েছে। প্রায় তিন গুণ বেড়ে এক হাজার ৯৭ জন। বেপরোয়া গতি আর অসচেতনতার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া হাত-পা হারানো মানুষের সংখ্যাও কম নয়। গবেষণা বলছে, দুর্ঘটনায় নিহত এবং পঙ্গুত্বের শিকার সবার বয়সই ২৫-৩০-এর মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্ঘটনা ঠেকাতে লাইসেন্স প্রাপ্তিতে কঠোরতার পাশাপাশি নিয়ম মেনে মোটরসাইকেল চালানো প্রয়োজন। হাসপাতালের শয্যায় যখন কাতরাচ্ছে মুখলেসুর। একদিকে পা হারানোর যন্ত্রণা, অন্যদিকে অনিশ্চিত অন্ধকারের ছায়া। চিকিৎসকরা তার আরেকটি পা বাঁচানোর যুদ্ধে লিপ্ত। রাজধানীর খিলক্ষেতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সম্ভাবনাময় জীবনের স্বপ্নহারা এই তরুণ।
মুখলেসুর বলেন, চিকিৎসকরা আমাকে দেখে আমরা একটি পা কেটে নিয়েছে। এখনও অন্য পায়ের অপারেশন রয়েছে। অর্থোপেডিক হাসপাতালে এ ব্লকের ওয়ার্ডে ৪২টি শয্যার মধ্যে ৩০টিতেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহতরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালের পরিসংখ্যান বলছে, এদের ৩৫ ভাগই পঙ্গু হয়ে বাড়ি ফেরেন। ২০১৬ সালে যেখানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ছিল ৩৩৬ জন। ২০২০ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৭ জনে। ৫১ শতাংশ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বেপরোয়া গতি। আর এ ধরনের সড়ক দুর্ঘটনার নতুন হটস্পট ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা এখানে বেশি হচ্ছি। প্রতিদিনই মানুষ মারা যাচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, চালকের বেপরোয়া গতির পাশাপাশি মানহীন হেলমেট ব্যবহারে ঝুঁকি আরো বাড়ে। বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে ব্যক্তি সচেতনতার পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএর তথ্য বলছে, দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৩০ লাখের ওপর, যার মধ্যে ঢাকায় চলাচল করে ৮ লাখ।