কক্সবাজারে নিহত কিশোরীর পরিচয় মিলেছে
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৭, ২০২০ , ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
কক্সবাজার (চকরিয়া) প্রতিনিধি : কক্সবাজারের চকরিয়ায় চলন্ত গাড়িতে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় নিহত কিশোরীর পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম চম্পা (১৮)। সে কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুলিয়ার কোনাপাড়ার ভটভটিচালক রুহুল আমিনের মেয়ে। বুধবার রাত ১০টার দিকে চকরিয়া-পেকুয়া-বাঁশখালী সড়কের চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়নের মরং ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাবা রুহুল আমিন জানান, বুধবার রাতে তার মেয়ে চট্টগ্রাম শহরের ফুপুর বাসা থেকে অটোরিকশায় কক্সবাজারের খরুলিয়াস্থ নিজ বাড়ি ফিরছিল। পথে ওই গাড়িতেই তাকে হত্যার পর রাত ১০টার দিকে চকরিয়া থানার কোনাখালীর মংরং এলাকায় আঞ্চলিক মহাসড়কে ফেলে দেয়া হয়। চকরিয়া থানা পুলিশ বুধবার রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। রুহুল আমিন আরও জানান, বোন ছখিনা বেগম তার ছেলে আরিফের (২২) সঙ্গে চম্পার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু বোনের ছেলে আরিফের সঙ্গে চম্পার বিয়ে দেয়া হয়নি। গত ৫ মাস আগে তার মেয়ে চম্পার সঙ্গে কক্সবাজারের রামু উপজেলার তেচ্ছিপুল এলাকার ফরিদুল আলমের ছেলে রাজমিস্ত্রি শাহ আলমের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের তিন মাস পর চম্পা চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা এলাকায় ফুপু ছখিনা বেগমের ছেলে আরিফের সঙ্গে চলে যায়। রুহুল আমিন জানান, তার আগের বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোটকুমিরা এলাকায়। পরে তারা কক্সবাজারের খুরুলিয়ায় গিয়ে সেখানেই বসবাস করে আসছেন। তার ছোট বোন ছখিনা বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরের পাঁচলাইশ থানার ১নং রেলগেট এলাকায় থাকেন। গত দুই মাস চম্পা সেখানেই ছিল। দুই মাস পর চম্পা বুধবার সন্ধ্যায় আরিফকে ছেড়ে কক্সবাজারস্থ বাপের বাড়িতে চলে আসার কথা বলে রুহুল আমিনকে ফোনে জানান। বুধবার রাতে চম্পা চট্টগ্রাম শহর থেকে একটি অটোরিকশায় উঠে চালকের মোবাইল ফোন থেকে বাবা রুহুল আমিনের সঙ্গে কথা বলে। ওই অটোরিকশাটি চকরিয়া পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য রুহুল আমিন ওই রাতে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি মাহিন্দ্র নিয়ে চকরিয়ায় গিয়ে আপেক্ষা করছিলেন। রাত ৯টার দিকে ওই চালকের মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মেয়ের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। রাত ১০টার দিকে বাঁশখালী-পেকুয়া-চকরিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী মরংঘোনা এলাকায় সড়কে চম্পার রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। সড়কে এক কিশোরীর মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে রুহুল আমিন রাত পৌনে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মেয়েকে শনাক্ত করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে প্রচুর রক্ত পড়ে আছে। চম্পার মাথা একেবারে থেঁতলে দেয়া হয়েছে। একটি হাতও ভাঙা। চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে। বুধবার রাতেই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।