চাঞ্চল্যকর নিলুফা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে পরকীয়া
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ১২, ২০২৩ , ৪:৪৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
দিনের শেষে প্রতিবেদক : চার বছর আগে ঢাকার সদরঘাটে মিতালি-৭ লঞ্চের কেবিনে খুন হওয়া নিলুফা বেগমের মৃত্যুরহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্রুনাই প্রবাসী আসামি মো. দেলোয়ার মিজিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এই বিশেষ ইউনিট। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে ধানমন্ডির পিবিআই প্রধান কার্যালয়ে অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২২ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেলোয়ার মিজিকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানার মোল্লাবাড়ি নাসিরকোর্ট গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত ১৬ জুন, ২০১৯ তারিখ রাতে ঢাকা আসার জন্য মিতালি-৭ লঞ্চের এস-৩০৯ নম্বর কেবিনে ওঠেন নিলুফা বেগম। পর দিন সকালে কেবিন বয় তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পিবিআই-এর ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় সনাক্ত করে। লঞ্চের বুকিং রেজিস্ট্রারে প্রতিবেশী জাহাঙ্গীরের নামের পাশে নিলুফার মোবাইল নম্বর লেখা ছিল। লিলুফা বেগমের সঙ্গে জাহাঙ্গীরের সখ্যতা থাকায় এই হত্যাকাণ্ডে তিনি জড়িত থাকতে পারেন বলে এজাহারে উল্লেখ করে নিহতের ভাই মনির হোসেন। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ১ মাস তদন্ত শেষে পিবিআই ঢাকা জেলা মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে। তদন্তে নিহতের সাথে একই গ্রামের ব্রুনাই প্রবাসী দেলোয়ার মিজির পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি উঠে আসে। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে চার বছর অপেক্ষার পর চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেলোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআই প্রধান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দেলোয়ার মিজি নিলুফা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। দেশে আসার কিছুদিন আগে সে তার এক আত্মীয়কে পাঠানো ভয়েস রেকর্ডে মেসেজের মাধ্যমে লিলুফা হত্যা মামলার খোঁজ নিতে বলে এবং মামলা শেষ করতে যদি টাকা পয়সা লাগে সে ব্যাপারে আশ্বাস দেয়। দেশে আসলে সমস্যা হবে না এমন আশ্বাস পেয়েই সে ব্রুনাই থেকে বাংলাদেশে আসে।
দেলোয়ার মিজি এবং লিলুফা ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে চাঁদপুর থেকে লঞ্চে ওঠে। লঞ্চ ছাড়ার পর রাত ১২টার দিকে সে নিলুফাকে ধর্ষণ করে। এ নিয়ে নিলুফার সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নিলুফার গলায় ওড়না পেচিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।