আজকের দিন তারিখ ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব চীনে পরমাণু হামলার কথা ভেবেছিল যুক্তরাষ্ট্র

চীনে পরমাণু হামলার কথা ভেবেছিল যুক্তরাষ্ট্র


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ২৪, ২০২১ , ১২:৩৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক :  কমিউনিস্ট বাহিনীর অভিযান থেকে তাইওয়ানকে রক্ষায় ১৯৫৮ সালে চীনের মূল ভূখণ্ডে পারমাণবিক হামলার কথা ভেবেছিলেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর পরিকল্পনাকারীরা।  পেন্টাগন পেপারস খ্যাত ডেনিয়েল এলিসবার্গের অনলাইনে পোস্ট করা নথিতে এমন তথ্য মিলেছে।-খবর এএফপির নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, মার্কিন পরিকল্পনাকারীরা ধারণা করেছিলেন, চীনকে সহায়তা করতে পারে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে প্রতিশোধ নিতে পারে। তাইওয়ানকে সুরক্ষায় তারা এই খেসারত দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। সাবেক সামরিক বিশ্লেষক এলিসবার্গ অতিগোপনীয় নথির একটি অংশ অনলাইনে পোস্ট করেছেন। এর কিছু অংশ ১৯৭৫ সালেও প্রকাশিত হয়েছিল।

ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে পেন্টাগনের একটি অতিগোপনীয় গবেষণা মার্কিন সংবাদমাধ্যমে ১৯৭১ সালেও ফাঁস করে দিয়েছিলেন এলিসবার্গ। তখন বিশ্বজুড়ে তা ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল। তার বয়স এখন ৯০ বছর। দ্য টাইমসকে এলিসবার্গ বলেন, ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে তাইওয়ান সংকট নিয়ে এসব নথি তিনি কপি করেছিলেন। তাইওয়ান নিয়ে যখন চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা তুঙ্গে, তখন এসব তথ্য আবার ফাঁস করে দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার জয়েন্ট চিফ স্টাফ জেনারেল নাথান টিউনিং এটা পরিষ্কার করে দেন যে, তাইওয়ানে কোনো অভিযান পরিচালনা করা হলে চীনা বিমান ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু হামলা চালাবে। ১৯৫৭ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেন নাথান টিউনিং।

নথিতে বলা হয়, চীন যদি অভিযান বন্ধ না করতো, তাহলে দেশটির সাংহাইয়ের মতো উত্তরাঞ্চলের গভীরে পরমাণু হামলা চালানো ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প ছিল না। সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে প্রচলিত অস্ত্রের ওপরই নির্ভর করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার।

তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণাধীন দ্বীপগুলোতে কমিউনিস্ট বাহিনী হামলা বন্ধ করলে এই সংকটের অবসান ঘটেছিল। ১৯৭৯ সাল থেকে চীনকে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তাইওয়ানের সঙ্গেও সম্পর্ক বজায় রাখছে। আর তাইওয়ানকে বিদ্রোহী প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করছে চীন। বলপ্রয়োগ করে হলেও দেশটিকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করার কথা ভাবছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশটি।